রণদা প্রসাদ সাহার জন্মজয়ন্তীতে মির্জাপুরে দেশি-বিদেশিদের মিলন মেলা

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট্র অব বেঙলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার ১২৬তম জন্মদিন পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার বিকালে কুমুদিনী কমপ্লেক্সে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এসব কর্মসূচিতে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ভূটান ও নেপালের রাষ্ট্রদূত, বিচারপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধ্যাক্ষ ছাড়াও দেশি-বিদেশি অতিথিদের প্রদচারণায় কুমুদিনী কমপ্লেক্স চত্বর মুখরিত হয়ে উঠে। সকালে কুমুদিনী হাসপাতালে রণদার প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।
সন্ধ্যায় ভারতেশ্বরী হোমসে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা ও কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট্রের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে মোমবাতি প্রজ্জলন করা হয়। এতে দেশি বিদেশি অতিথি, ভারতেশ্বরী হোমসের ছাত্রী, নার্স, শিক্ষকগণ মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন। পরে ভারতেশ্বরী হোমসের ছাত্রীদের মনোমুগ্ধকর শারীরিক কসরত প্রদর্শন করে। এরপর হোমসের ডাইনিং হলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও জন্মজয়ন্তীর কেক কাটা হয়।
এর আগে হোমসের মাঠে অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুমুদিনী ওয়েল ফেয়অর ট্রাস্ট্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার বার্মা, অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার জেরেমি ব্রুর, ভূটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনতসি, নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘন শ্যাম ভান্ডারী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ, সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুছ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবির, কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট্রের পরিচালক ভাষা সৈনিক প্রতিভা মুৎসুদ্দি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ফারুক, টাঙ্গাইল-৭ আসনের সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ, আরমা দত্ত এমপি, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, কুমুদিনী ইউমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আব্দুল হালিম, ভারতেশ্বরী হোমসের অধ্যক্ষ ত্রয়ী বড়ূয়া প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৮৯৬ সারে ১৫ নভেম্বর উত্থান একাদশীতে অতিদরিদ্র পরিবারে এ মহামনিষীর জন্ম হয়। তার মায়ের নাম কুমুদিনী এবং বাবার নাম দেবেন্দ্র নাথ সাহা। শিশুকালেই পিতা মাতাকে হারিয়ে বড় হতে থাকেন তিনি। কঠোর অধ্যাবসায় আর অদম্য সাহসিকতা নিয়ে এগিয়ে যান তিনি। জীবন সংগ্রামে জয়ী রণদা প্রসাদ সাহা জীবনের সব উপার্জিত অর্থ মানবতার কল্যাণে দান করে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযদ্ধের সময় পাক হানাদারদের এ দেশীয় দোসরদের সহায়তায় রণদা প্রসাদ সাহা ও ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহা রবিবে অপহরণ করে নিযে যায়। তারপর থেকে তাদের আর কোন সন্ধান মেলেনি।
(ঢাকাটাইমস/১৮নভেম্বর/এলএ)

মন্তব্য করুন