অক্সফামের প্রতিবেদন: এক শতাংশ মানুষের কাছে দুই-তৃতীয়াংশ সম্পদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:৪১| আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯:১১
অ- অ+

ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান দুনিয়া থেকে যেন কমছেই না। যারা সম্পদশালী তারা আরও সম্পদ পাচ্ছে বিপরীতে দরিদ্ররা আরও দরিদ্র হচ্ছে। সীমিত আয়ের মানুষদের যেখানে করতে হচ্ছে বেঁচে থাকার সংগ্রাম বিপরীতে ধনিক শ্রেণি আরও ধনী হওয়ার চিন্তায় বিভোর। কেননা, দুনিয়ার মোট সম্পদের দুই-তৃতীয়াংশের মালিক মাত্র ১ শতাংশ মানুষ। সম্প্রতি এমন তথ্যই উঠে এসেছে ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থা অক্সফামের এক প্রতিবেদনে।

‘সারভাইভাল অব দ্য রিচেস্ট’ নামের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের পর নতুন করে তৈরি হওয়া ৪২ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক সম্পদের দুই তৃতীয়াংশেরই মালিক হয়েছেন পৃথিবীর ১ শতাংশ মানুষ। সোমবার সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভায় প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।

বিশ্বে ১৭০ কোটি কর্মজীবী মানুষ মুদ্রাস্ফীতির কবলে জর্জরিত। তারা যে দেশগুলোতে বসবাস করছেন সেখানে বেতনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে চলেছে। অপরদিকে, বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ প্রতিদিন গড়ে ২৭০ কোটি ডলার করে বাড়ছে।

বিলিয়নিয়ারদের অর্ধেক এমন দেশগুলোতে বাস করেন যেখানে উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পদের মালিক হতে কোনো ট্যাক্স দিতে হয় না। ফলে তারা যে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার সম্পদ তাদের উত্তরসূরিদের জন্য রেখে যেতে পারবেন, যা সমগ্র আফ্রিকার জিডিপির থেকেও বেশি। বিশ্বের মাল্টি-মিলিওনেয়ার ও বিলিওনেয়ারদের ওপর ৫ শতাংশ করারোপ করলে ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থ জোগাড় করা যেতে পারে। যার মাধ্যমে ২০০ কোটি মানুষকে দারিদ্র থেকে বের করে আনা সম্ভব।

অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক গ্যাব্রিয়েলা বুচার বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে খাবারের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় উপাদান জোগাড় করতে কঠোর পরিশ্রম করতে হচ্ছে। অপরদিকে, অতিমাত্রায় ধনীদের সম্পদের পরিমাণ তাদের স্বপ্নকেও ছাড়িয়ে গেছে। মাত্র ২ বছরেই এই দশকটি বিলিওনেয়ারদের জন্য সেরা দশকে রূপান্তরিত হওয়ার পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছে।’

প্রতিবেশি ভারতেও মোট সম্পদের ৪০ শতাংশের বেশির মালিক এখন মাত্র এক শতাংশ ধনী ব্যক্তি। অর্ধেক জনসংখ্যার কাছে রয়েছে মাত্র তিন শতাংশ সম্পদ। গবেষণায় দেখা গেছে দেশটির শীর্ষ ১০ ধনীর ওপর পাঁচ শতাংশ হারে ট্যাক্স চাপালে দেশের প্রতিটা শিশুর স্কুলে যাওয়ার খরচ জোগাড় হয়ে যাবে।

শুধু বিলিয়নিয়ার গৌতম আদানির ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যকার অনাদায়ী মুনাফার ওপর এককালীন কর বসালেই ১ দশমিক ৭৯ লাখ কোটি রুপি উঠতে পারে, যা ৫০ লাখের বেশি ভারতীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের এক বছরের বেতন দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

অক্সফাম জানিয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারির শুরু থেকে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসের মধ্যে ভারতীয় বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ বেড়েছে অন্তত ১২১ শতাংশ। আরও স্পষ্ট করে বললে, ওই সময়ে দৈনিক ৩ হাজার ৬০৮ কোটি রুপি করে সম্পদ বেড়েছে তাদের। ২০২০ সালে দেশটিতে বিলিয়নিয়ার ছিলেন মোট ১০২ জন। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৬ জনে।

(ঢাকাটাইমস/১৬জানুয়ারি/এসএটি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
৪৩ হাজার পৃষ্ঠার নথিতেও এনসিপি টেকেনি ইসির প্রাথমিক বাছাইয়ে
চট্রগ্রামে কোস্ট গার্ড ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগে ট্র্যাফিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা
নারীর শরীরে লুকানো ছিল ৩৭ হাজার ইয়াবা!
এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ পেল বিকাশ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা