যাত্রাবাড়ী আড়তে যুবক হত্যা: কাউন্সিলর মাসুমকে ধরতে অভিযান, গ্রেপ্তার ৮
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী কাঁচামালের আড়তে ইমরান হোসেন নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুম মোল্লাসহ ২২ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে মামলা পর গেল ১৫ ঘণ্টায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত কাউন্সিলর মাসুম মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। কাউন্সিলর মাসুম ইমরান হত্যা মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামি। নিহত ইমরান পেশায় একজন পিকআপ শ্রমিক ছিলেন।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলাটি করেন ইমরানের স্ত্রী পপি আক্তার। এর আগে সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারে ইমরান ও তার সহকর্মীদের ওপর ৫০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুম মোল্লার নির্দেশে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এসময় দুর্বৃত্তরা ছুরি, রামদা ও চাপাতি দিয়ে ইমরানকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। সেখান থেকে ইমরানকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হামলায় ইমরানের সহকর্মী সিদ্দিক ও শাহাদাত গুরুত্ব আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
বুধবার রাতে যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুল আলম ঢাকাটাইমসকে বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে যাত্রাবাড়ী থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে তানজিল মিয়া, মোস্তাকিম, আরিফ, শুভ, রমজান মোল্লা উল্লেখযোগ্য।
ওসি আরও বলেন, মামলার প্রধান আসামি (কাউন্সিলর মাসুদ ইমরান) সহ বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।'
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মো. ইমরান পেশায় একজন পিকআপ শ্রমিক ছিলেন। এর পাশাপাশি কাঁচাবাজারে টোল আদায়ের কাজ করতেন। গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারে যান। এ সময় সোনার বাংলা বাণিজ্যালয় আড়তের ভেতরে ইমরান ও তার সহকর্মীদের ওপর ৫০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুম মোল্লার নির্দেশে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
ইমরান ঢাকার দোহার উপজেলার আব্দুল খালেক-জোসনা বেগমের সন্তান। তিনি যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ কাজলা এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন।
(ঢাকাটাইমস/২৫জানুয়ারি/এসএস/ইএস)