পটুয়াখালীতে কোটি টাকার বিকল্প সড়ক ব্যবসায়ীদের দখলে

স্বপ্নীল দাস, পটুয়াখালী
 | প্রকাশিত : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:৩৫

পটুয়াখালী সদর রোডে যানজট নিরসনে সদর রোডের বিপরীত দিকে লাউকাঠী নদীর পাশ ঘেষে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল বিকল্প আরেকটি সড়ক।

পটুয়াখালীর নিউমার্কেট থেকে লঞ্চঘাট পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কের সিংহভাগ রয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দখলে। সড়ক দখল করে দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে ব্যবসা-বাণিজ্য।

সদর রোডের পাশ ঘেষেই রয়েছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ। স্কুল-কলেজ ছুটির সময় সদর রোডে দেখা দেয় তীব্র যানজট। এসময় দীর্ঘ লাইন থাকে অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনের। স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীসহ তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।

পটুয়াখালী কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সৌমি দাস বলেন, যখন স্কুল ছুটি হয় তখন রাস্তায় অনেক রিকশা-গাড়ি থাকে। রাস্তা পার হতে খুব ভয় করে।

ভারী যানবাহন চলাচলসহ জনসাধারণের নির্বিঘ্নে যাতায়াতের স্বার্থে পটুয়াখালী পৌর শহরের সদর রোডের বিপরীতে বিকল্প সড়কটি নির্মিত হলেও সরেজমিনে দেখা যায়, লঞ্চঘাট থেকে শুরু হয়ে শহীদ আলাউদ্দিন শিশুপার্ক পর্যন্ত দখলে থাকে স্টিল আলমারি ব্যবসায়ী এবং পুরনো মালামাল দোকানি ব্যবসায়ীদের। আলাউদ্দিন শিশু পার্কের পর থেকে দখলে থাকে রড সিমেন্ট ব্যবসায়ীদের, পুরো চরপাড়া পর্যন্ত ভারী-ভারী যানবাহন রাস্তার দুই পাশে থামিয়ে দিনভর নামানো উঠানো হয় রড সিমেন্ট।

সড়কের পরের অংশ থেকে প্রায় পটুয়াখালী সদর থানার নৌঘাটি পর্যন্ত থাকে কাঠমিল ব্যাবসায়ীদের দখলে। পরের অংশ দখলে থাকে সবজি ও কাঁচা বাজার বিক্রেতাদের। রাস্তার উপরে দুই পাশে সবজি সাজিয়ে এমনভাবে দোকান সাজানো হয় যে, ক্রেতারা ক্রয় করার জন্য দাঁড়ালে আর মানুষ চলাচলের জায়গা থাকে না।

সবজি ব্যবসায়ী জামাল জানান, আমাদের কোনো রকম বাজার বসার জায়গা না থাকায় আমরা এই রাস্তায় সবজি সাজিয়ে বসি এবং বিক্রি করি। আমাদের স্থায়ী কোনো জায়গা নাই আমাদের দাবি আমাদের জন্য একটা স্থায়ী বাজার করে দেওয়া হোক।

মুরগি ব্যবসায়ী হেলাল আহমেদ জানান, আমাদের কোনোরকম জায়গা নেই আমাদের মুরগির রাখার জায়গা দরকার অনেক, কিন্তু আমাদের তেমন রাখার জায়গা নেই এবং মুরগি ড্রেসিং করার জন্য যে মেশিন আছে, সেই মেশিন রাখার জায়গা না থাকায় রাস্তার উপরে এইভাবেই রাখতে হয় সবকিছু। আমাদের দাবি, আমাদের জন্য স্থায়ী একটা জায়গা করে দেওয়া হোক।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহাম্মেদের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি জানান, আমাদের শহরের বয়স প্রায় ১৩১ বছর। সেই অনুপাতে আমাদের রাস্তাঘাটগুলো তেমনভাবে সম্প্রসারিত করতে পারিনি। তাই সদর রোডের পাশাপাশি আমরা এই সড়কটিকে প্রশস্ত করে ফোর-লেন মেরিন ড্রাইভ করার চিন্তাভাবনা করছি। এটা হলে আমাদের শহরের যানজট কিছুটা লাঘব হতো। আমরা অনেকগুলো সড়কে ওয়ানওয়ে করে দেব। তাহলে দেখা যাবে ৮-১০ বছরে কোনরকম যানজট হবে না। আসলে ভাসমান মানুষগুলো এখানে ফ্লোরিং দোকান নিয়ে বসে, ভ্যান নিয়ে বসে। এদেরকে প্রতিনিয়ত বাধা দেওয়ার চেষ্টা করি, তাদের অনেক সময় শাস্তির আওতায় নিয়ে আসি। কিন্তু তারপরেও দেখা যায়, এ কাজগুলো ঘটে। আপনাদের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে চাই, শিগগির আরো কঠোর ব্যবস্থা নেব এবং তাদের জন্য একটা ব্যবস্থা করব।

(ঢাকাটাইমস/০৬ফেব্রুয়ারি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :