সৌদিতে মানবপাচার চক্রের মূল হোতাসহ আটক ৫

রাজধানী থেকে সৌদি আরবে মানবপাচার চক্রের মূল হোতাসহ ৫ জনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব।
সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। মঙ্গলবার বিকালে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আটককৃতরা হলেন, মো. নজরুল ইসলাম মিলন, বাদল আকন, মো. হেলাল উদ্দিন, আব্দুর রহমান রিপন ও মো. মাসুদ আলম।
তাদের মধ্যে মো. নজরুল ইসলাম মিলন বরিশাল জেলার বন্দর থানার চরকাউয়া নয়ানী গ্রামের প্রয়াত আব্দুল মালেকের ছেলে, বাদল আকন একই এলাকার আব্দুর রহমান আকনের ছেলে, আব্দুর রহমান রিপন একই এলাকার প্রয়াত কাঞ্চন আলী হাওলাদারের ছেলে, মো. হেলাল উদ্দিন পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার কালাই কিশোর গ্রামের প্রয়াত ইসমাইল কাজির ছেলে এবং মো. মাসুদ আলম লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার নারায়ণপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে।
র্যাব জানায়, সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে পল্টন মডেল থানার শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্বরণী এলাকায় একটি অভিযান চালানো হয়। এসময় সৌদি আরবে মানবপাচার চক্রের মূলহোতা নজরুল ইসলাম মিলনসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১০টি মুঠোফোন, তিনটি স্ট্যাম্প এবং নগদ ২৫ হাজার ৩৮৫ টাকা জব্দ করা হয়।
আটককৃতদের বরাত দিয়ে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক বলেন, আটককৃতদের জনশক্তি রপ্তানির কোনো বৈধ লাইসেন্স না থাকার পরও ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে সৌদি আরবে উচ্চ বেতনে চাকরি, বছরে দুটি বোনাস, থাকা খাওয়া ফ্রিসহ চাকরি দেওয়ার লোভনীয় কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া সৌদি আরবে লোক পাঠালে সেখানে তাদের অন্য সহযোগীদের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে পাসর্পোট ও টাকাসহ সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে তাদেরকে একটি ঘরে জিম্মি করে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো।
র্যাব জানায়, এ চক্রটি এক ভুক্তভোগীদের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে কয়েক লাখ টাকা দাবি করে। ভুক্তভোগীদের পরিবার কোনো উপায় না পেয়ে আটককৃতদের অফিসে গিয়ে তাদের জানালে তারা বিষয়টি দেখছে বলে সময় নেয়। কয়েক দিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরও কোনো কাজ না হওয়ায় আটককৃতদের অফিসে গেলে তারা গালিসহ অশোভন আচরণ করতে শুরু করেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর পরিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আশ্রয় নিতে গেলে তাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়।
এদিকে আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে র্যাব। (ঢাকাটাইমস/১৪ ফেব্রুয়ারি/এএ/এসএম)

মন্তব্য করুন