পোলট্রি খাতে ৫২ দিনে লুট ৯৩৬ কোটি টাকা!

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৩, ২০:০২ | প্রকাশিত : ২৪ মার্চ ২০২৩, ১৯:৩৮

মুরগির দাম বৃদ্ধিতে সরকারি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর তদারকি না থাকায় দেশের হরিলুট চলছে বলে অভিযোগ করেছে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির দাবি, পোলট্রি খাতে মুরগি ও বাচ্চার দাম বাড়িয়ে সব মিলিয়ে গত ৫২ দিনে ৯৩৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই খাতের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো।

বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করেছে এই সংগঠনটি।

সংগঠনটির সভাপতি সুমন হাওলাদারের সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে প্রতিদিন ব্রয়লার মুরগির চাহিদা তিন হাজার ৫০০ টন। প্রান্তিক খামারিদের ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ এখন কেজিপ্রতি ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। আর করপোরেট প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যয় ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। তবে পাইকারি পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২৩০ টাকা পর্যন্ত এসব মুরগি বিক্রি হয়েছে। তাতে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো কেজিপ্রতি অন্তত ৬০ টাকা বেশি মুনাফা করেছে।

করপোরেট প্রতিষ্ঠানের (তাদের চুক্তিভিত্তিক ফার্মসহ) মাধ্যমে থেকে প্রতিদিন দুই হাজার টন মুরগি বাজারে আসে। সেই হিসাবে দিনে তাদের অতিরিক্ত মুনাফা হয় ১২ কোটি টাকা। এভাবে গত ৩১ জানুয়ারি থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত ৫২ দিনে ৬২৪ কোটি টাকা মুরগি বিক্রির মাধ্যমে লাভ করেছে কোম্পানিগুলো। আর এক দিনের মুরগির বাচ্চা বিক্রি করে তাদের মুনাফা ৩১২ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে মুরগি ও বাচ্চার দাম বাড়িয়ে ৯৩৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন।

সংগঠনটির দাবি, দেশে প্রতিদিন মুরগির বাচ্চা উৎপাদন হয় ২০ লাখ। এসব বাচ্চা কোম্পানিগুলো উৎপাদন করে। একেকটি মুরগির বাচ্চা উৎপাদনে খরচ হয় ২৮ থেকে ৩০ টাকা, যা চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ছিল ১০ থেকে ১৫ টাকা। প্রতিটি এখন ৬২ থেকে ৬৮ টাকায় দেওয়ার কথা হলেও বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। প্রতিটি বাচ্চায় ৩০ টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করছে কোম্পানিগুলো।

বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, ব্রয়লার মুরগির অস্বাভাবিক দামের কারণে প্রান্তিক খামারিরা ক্ষতি পোষাতে না পেরে খামার বন্ধ করে উৎপাদন থেকে ছিটকে পড়েছেন। এ সুযোগে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো পোলট্রির ফিড বা খাবার ও মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রান্তিক খামারি উৎপাদনে গেলে তখন বাজারে দাম কমিয়ে দিয়ে ক্ষতিতে ফেলছেন। তারা আরও বলেছে, পোলট্রি ফিড ও মুরগির বাচ্চা শতভাগ উৎপাদন করে করপোরেট প্রতিষ্ঠান। তারাই আবার আংশিক ডিম ও মুরগি উৎপাদন করে। চুক্তিভিত্তিক খামারও রয়েছে তাদের। এতে করে বাজার তাদের দখলে চলে যাচ্ছে। এটা বন্ধ করা না গেলে এই খাতের অস্থিরতা কমানো সম্ভব নয়।

(ঢাকাটাইমস/২৪মার্চ/কেআর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

পুনর্গঠন হলো ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ 

ন্যাশনাল ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান হলেন মুখলেসুর রহমান

সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমল, মধ্যরাত থেকে কার্যকর

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হলেন এম. সাদিকুল ইসলাম

কমেছে ডিমের দাম, স্থিতিশীল সবজির বাজার

প্রকৃত রপ্তানির সঙ্গে ইপিবির তথ্যে গরমিল ২৩ মাসে ২৬ বিলিয়ন ডলার

এক্সিম ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন

বসুন্ধরা ফুড এবং সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

বন্যার্তদের সহায়তায় ৫ কোটি টাকা দিল এবি পরিবার

আন্দোলনে আহত ৪১৪ জনকে ২৫ হাজার টাকা করে দিল ব্র্যাক ব্যাংক

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :