পান আনতে গিয়ে লাশ হলো শিক্ষার্থী
শেরপুরের শ্রীবরদীতে জসিম (১৩) নামে এক শিক্ষার্থীর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মাসুদ নামে এক ঘাতককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার হাঁসধরা গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে ওই লাশ উদ্ধার হয়।
নিহত জসিম রাণীশিমুল ইউনিয়নের হাঁসধরা পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত গোলাপ মিয়ার ছেলে ও হাঁসধরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় জসিমের মা জবেদা বেগম জসিমকে বাজার থেকে পান এনে দেয়ার কথা বলেন। পরে জসিম তার বড় ভাই রুবেল মিয়ার অটোভ্যান নিয়ে হাঁসধরা গ্রামের বাজারে যায়। এ সময় পাশের বিলভরট গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে মাসুদ ফুঁসলিয়ে জসিমকে হাঁসধরা গ্রামের একটি ধানক্ষেতে নিয়ে তার কাছ থেকে জোরপূর্বক ভ্যানটি ছিনিয়ে নেয়। পরে মাসুদ ওই দিন রাতে অটোভ্যানটি বিক্রি করার জন্য শ্রীবরদী পৌর শহরের উত্তর বাজারে যায়। এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তারা মাসুদকে আটক করে অটোভ্যানসহ শ্রীবরদী থানা পুলিশে সোপর্দ করে।
এদিকে দীর্ঘ সময় পরও শিশু জসিম বাজার থেকে বাড়িতে না ফেরায় স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও ব্যর্থ হয়। পরে দুপুরে হাঁসধরা গ্রামের একটি ধানক্ষেতে জসিমের লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। এমন সংবাদ পেয়ে শ্রীবরদী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
জসিমের মা জবেদা বেগম ছেলে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
শ্র্রীবরদী থানার ওসি (তদন্ত) নাঈম মোহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, জসিমের গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরির একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৬এপ্রিল/এলএ)