গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের কর্মচারী সোহেল এখন শত কোটি টাকার মালিক!

গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের ৩য় শ্রেণির কর্মচারী সোহেল সিকদার গত ১০ বছরে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। গোপালগঞ্জ শহরে রয়েছে তার বিলাসবহুল গাড়ি ও বাড়ি। এই সোহেল সিকদার ২০১২ সালের ২৪ মে জেনারেল হাসপাতালে (ওয়ার্ড মাস্টার) পদে যোগ দেন। এরপর থেকে তার ভাগ্যের চাকা ঘুরতে থাকে। ফুলে-ফেপে ওঠতে থাকেন তিনি।
হাসপাতালের ঠিকাদারি কাজ, আউটসোর্সিং নিয়োগ, খাদ্য সরবরাহসহ বিভিন্ন দায়িত্ব এখন তার হাতে। হাসপাতালের সব ডাক্তার, কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে সার্টিফিকেট বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যান। কেনেন বিলাসবহুল গাড়ি, মোটরসাইকেল ও গড়ে তোলেন শহরের পৌরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডে বহুতল ভবন।
সোহেল সিকদার চাকরি পাওয়ার আগে ছোট একটি ওষুধের দোকানের কর্মচারী ছিলেন। তার বাবার ছিল চায়ের দোকানি। পরে নিজেই হাসপাতালের সামনে সিকদার ফার্মেসি নামে একটি ওষুধের দোকান দেন। ২০১২ সালে হাসপাতালে চাকরিতে চলে যান। ছোট ভাই আল-আমিন ইসলাম কুটুকে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে পৌরসভার কাউন্সিলর বানিয়েছেন। বর্তমানে সোহেল সিকদার (ওয়ার্ড মাস্টার) পদ পরিবর্তন করে জেনারেল হাসপাতালেই (স্টুয়ার্ড) পদে কর্মরত। হাসপাতালে তার আত্মীয়-স্বজনসহ ১৫ জন কর্মরত রয়েছেন।
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ শহরের মিয়াবাড়ি এলাকার কাবুল মিয়া জানান, চাকরি পাওয়ার পর থেকে হাসপাতালে সার্টিফিকেট বাণিজ্য ও অবৈধ পথে শত কোটি টকার মালিক হয়েছেন সোহেল সিকদার ও তার বোন জামাইকে হাসপাতালে (ওয়ার্ড মাস্টার) পদে চাকরি দিয়েছেন।
মোল্যা বাড়ির কামাল হোসেন জানান, সোহেল সিকদার ও তার বোন জামাই মিজান ওরফে ডাবলু মোল্যা সার্টিফিকেট বাণিজ্য করে ও বিভিন্ন ভুয়া ভাউচার, আউটসোর্সিংয়ে লোক নিয়োগ করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তার অনিয়মের বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং দুদকে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এর দাবি জানাচ্ছি।
একই এলাকার রাজীব ও মাহাবুব মোল্যা জানান, হাসপাতাল একটি সিন্ডিকেট করে গড়ে তুলেছে সোহেল সিকদার ও তার বোন জামাই মিজান ওরফে ডাবলু মোল্যা। এদের ম্যানেজ না করলে কোনো ধরনের কাজই হয় না। হাসপাতালে গড়ে তুলেছেন একটি দালাল বাহিনী।
এ বিষয়ে সোহেল সিকদার বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমার পিছে একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। স্থানীয় কিছু লোক মিথ্যা ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা মিথ্যা। আমি কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত না।
(ঢাকাটাইমস/০৭এপ্রিল/এলএ/এসএ)

মন্তব্য করুন