তিউনিসিয়ার উপকূলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকা ডুবে ২৭ জন নিখোঁজ-মৃত
তিউনিসিয়ার পূর্ব উপকূলে দুটি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকা ডুবে ২৭ জন নিহত বা নিখোঁজ হয়েছেন।
প্রথম নৌকাটি শুক্রবার তিউনিসিয়া থেকে ইতালির উদ্দেশে রওনা হয়। এতে ৩৭ জন আরোহী ছিলেন। ২০ জন নিখোঁজ এবং ১৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, স্ফ্যাক্স শহরের আদালতের একজন মুখপাত্র এ কথা বলেছেন।
শনিবার দ্বিতীয় নৌকাডুবির পর একটি সমুদ্র সৈকত থেকে চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। খবর বিবিসির।
মুখপাত্র বলেন, দ্বিতীয় নৌকায় থাকা ৩৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং তিনজন নিখোঁজ রয়েছে।
মুখপাত্র ফৌজি মাসমুদি বলেন, নৌকাগুলো লোহার পাত দিয়ে তৈরি।
মার্চের শুরু থেকে তিউনিসিয়ায় অন্তত সাতটি অনুরূপ জাহাজ ধ্বংস হয়েছে, এতে প্রায় ১০০ জন মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে।
তিউনিসিয়ার উপকূলের কিছু অংশ ইতালীয় দ্বীপ লাম্পেডুসা থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, যা প্রায়শই মূল ভূখণ্ডের ক্রসিং পয়েন্ট হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এ বছরের প্রথম তিন মাসে ১৪ হাজারেরও বেশি অভিবাসী যাদের বেশির ভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকার তিউনিসিয়া থেকে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টায় বাধা দেওয়া হয়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ সংখ্যা পাঁচ গুণ বেশি।
তিউনিসিয়ার ন্যাশনাল গার্ডের মুখপাত্র হোসেম জেবালি বলেছেন, ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান খুব তীব্রভাবে বেড়েছে।
অভিবাসীরা প্রায়শই মানব পাচারকারীদের দ্বারা অনিরাপদ জাহাজে পরিবহনের জন্য প্রচুর অর্থ প্রদান করে।
আদালতের মুখপাত্র মাসমুদি বলেছেন, তিনি উভয় বোট দুর্ঘটনার তদন্ত ঘোষণা করায় পাচারকারীদের আটক করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, উদ্দেশ্য ছিল পারাপার চেষ্টার সংগঠকদের খুঁজে বের করা যারা, যারা তাদের লোহার শীট নৌকায় চড়তে বাধ্য করেছিল, যেগুলো মোটেই ন্যূনতম নিরাপত্তার শর্তও দেয় না।
(ঢাকাটাইমস/০৯এপ্রিল/এফএ)