সাতক্ষীরায় অজ্ঞান পার্টির তিন সদস্য আটক

প্রথমে কৌশলে বাড়িতে প্রবেশ করে চেতনানাশক ওষুধ ছিটিয়ে বাড়ির সকলকে অজ্ঞান করত। পরে গ্যাস রেন্স ব্যবহার করে গ্রিল কেটে বাড়ির সর্বস্ব লুট করত তারা। সম্প্রতি সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনায় উদ্বিগ্ন ছিল সাধারণ মানুষসহ প্রশাসন। এমনই এক চক্রের সন্ধান পেয়েছে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ। ওই চক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনের ড্রিল সেডে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজিব খান, সদর সার্কেল মীর আসাদুজ্জামান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান, ডিআইও-১ ইয়াছিন আলম চৌধুরীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ সুপার জানান, গত ৩১ মার্চ রাত সাড়ে তিনটার দিকে সদর উপজেলার নেবাখালী গ্রামের শারমিন খাতুনের ঘরের দরজা ভেঙে অজ্ঞাত চোরেরা চেতনানাশক ছিটিয়ে বাড়ির লোকজনদের অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায়। এ অভিযোগে শারমিন খাতুন সদর থানায় একটি মামলা করে। এছাড়া ১৩ মার্চ সদর উপজেলার আলীপুর কুলপোতা এলাকার হারান চন্দ্র সরকারের বাড়িতে একই ধরনের ঘটনা ঘটে। এর প্রেক্ষিতে জেলা পুলিশ অজ্ঞান পার্টির রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। একপর্যায়ে ৮ মার্চ রাতে অজ্ঞান পার্টির মূলহোতাসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
আটকরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার ফকিরান গৌরিপুর গ্রামের জবেদ আলীর পুত্র বর্তমানে কালিগঞ্জের চৌবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা অজ্ঞান পার্টির মূলহোতা আবুল খায়ের মিস্ত্রি, সাতক্ষীরা শহরের খানপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের পুত্র সাগর হোসেন এবং আবুল খায়ের মিস্ত্রির স্ত্রী নব মুসলীম ঊষা রাণী দাস বর্তমান নাম আয়েশা খাতুন।
আবুল খায়ের মিস্ত্রির তথ্যের ভিত্তিতে কালিগঞ্জ থানার বাড়ি থেকে ১টি স্বর্ণের আংটি, নগদ ৯ হাজার টাকা, ১ বোতল চেতনা নাশক তরল পদার্থ, ১ কৌটা চেতনানাশক গুড়া পাউডার, ২ বোতল পোর্টেবল গ্যাস রেন্স (গ্রিল ভাঙ্গার কাজে ব্যবহৃত হয়) উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা বাড়িতে কৌশলে প্রবেশ করে স্প্রে ছিটিয়ে বাড়ির লোকজনদের অজ্ঞান করে লুট করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এছাড়া ওই চক্রটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল আবুল খায়ের মিস্ত্রি। আটক আবুল খায়ের ও সাগর হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
(ঢাকাটাইমস/০৯এপ্রিল/এলএ)

মন্তব্য করুন