বোরোর বাম্পার ফলনে হাওরাঞ্চলের কৃষকের হাসি

জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, সুনামগঞ্জ
 | প্রকাশিত : ১৪ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:২১

সোনালী ধানের ছড়া সূর্যের আলোতে ঝলমল করে বাতাসে দোল খাচ্ছে। হাওরে হাওরে পাকা বোরো ধানের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত এখন চারপাশ। হাওরাঞ্চলে এবার ধানের ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকের মলিন মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক। সেই খুশিতে কষ্টে ফলানো সোনালী রঙ্গের ধান কেটে মাড়াই দিয়ে গোলায় তুলতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আপন মনে তোরজোর শুরু করছেন সুনামগঞ্জের কৃষকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার ধর্মপাশা, দোয়ারা বাজার, ছাতক, জামালগঞ্জ, দিরাই, সুনামগঞ্জ

সদর, শাল্লা, জগন্নাথপুর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, মধ্যনগরসহ ১২টি উপজেলা হাওরাঞ্চলের ৮০ভাগ কৃষক পরিবার। তারা কৃষি কাজের মাধ্যমে বংশপরম্পরায় তাদের জীবন জীবিকা ও অতীত ঐতিহ্যের লালিত স্বপ্ন ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছে। এ বছর কৃষকরা একটু দেরিতে চাষাবাদ শুরু করলেও হাওরের বোরো ধানের গোছায় সোনালী রঙ ধরায় কৃষকের বুকে জেগেছে সুখের প্রান।

সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্য্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর বোরো মৌসুমে সুনামগঞ্জের ১২টি উপজেলার ছোট বড় মিলিয়ে ১৪২টি হাওরে দুই লাখ ২২ হাজার ৭৯৫ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ৬০ হাজার ৮৬০ হেক্টর, উচ্চ ফলনশীল এক লাখ ৬০ হাজার ৫৬৫ হেক্টর ও স্থানীয় এক হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৯৫ হেক্টর বেশি। ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ লাখ ৫৩ হাজার মেট্রিক টন। যার বাজার মূল্য ৩ হাজার ৮শত কোটি টাকা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার জানান, আগামী সাত দিন পর্যন্ত তেমন বৃষ্টিপাত হবে না সেই সাথে ফসল রক্ষা বাঁধ সুরক্ষিত আছে। আগাম বন্যার হাত থেকে ফসল রক্ষার পানি উন্নয়ন বোর্ড হাওরের জন্য ২০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৪৫ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করেছে।

সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান চাষাবাদ হয়েছে। বেশকিছু হাওরে আগাম জাতের ধান কাটা হচ্ছে ফলনও ভাল হয়েছে।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, দ্রুত হাওরের ধান কাটার জন্য সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জেলার বাইরে থেকে শ্রমিক ও কম্বাইন্ড হারভেস্টার নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে কৃষকরা তাদের কষ্টে হাওরে ফলানো সোনালি ফসল কেটে ঘরে তোলতে পারবে।

(ঢাকাটাইমস/১৪এপ্রিল/এলএ/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :