রাজশাহীতে প্রকাশ্যে টাকা ছিনতায়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

নগরীর সাহেব বাজার এলাকায় রাজশাহী প্রেসক্লাবের সামনে হতে আড়াই লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ২ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ।
বুধবার বিকালে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আদালতের মাধ্যমে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ভোরে শহরের পাঠানপাড়া এলাকায় ও নাটোর সদর থানার বলারিপাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নাটোর জেলার সদর থানার দিঘাপতিয়া ঘোষপাড়া গ্রামের মৃত খোরশেদ আলী মন্ডলের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৫৪) ও তার ছেলে রাজীব হোসেন (৩২)। বর্তমানে আব্দুর রাজ্জাক রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার পাঠানপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, গত ৩০ মার্চ দুপুরে বাহাদুর রহমান মহানগরীর সাহেব বাজার আইএফসি ব্যাংক হতে ৩ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। এসময় তিনি ৫০ হাজার টাকা তার ভাইকে দিয়ে বাকি আড়াই লাখ টাকা তার ব্যাগে রাখেন।
এরপর তিনি মোটরসাইকেলের সাইডে টাকার ব্যাগটি ঝুলিয়ে রাজশাহী কোর্টের দিকে রওনা দেন। কোর্টে যাওয়ার পথে মহানগরীর সাহেব বাজার রাজশাহী প্রেসক্লাবের সামনে যানজটে পড়েন। এ সময় তাকে পূর্ব থেকে অনসরণ করা এক ছিনতাইকারী তার টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে আলুপট্টির দিকে দৌঁড় দেয়। তিনিও ছিনতাইকারীকে অনুসরণ করে দৌঁড়াতে থাকেন। ছিনতাইকারী একটি রিকশা নিয়ে দ্রুত আলুপট্টির দিকে চলে যায়। পরে বাহাদুর রহমান বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি ছিনতাই মামলা করেন।
মামলার পর বোয়ালিয়া থানা পুলিশের একটি টিম ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। বোয়ালিয়া পুলিশের ওই টিম আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তায় আসামিদের ছবি সংগ্রহ করে। এরপর ছিনতাইকারীদের পরিচয় শনাক্তের জন্য গত ১৮ এপ্রিল বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ করা হয় ও আরএমপির ফেসবুক পেইজে সন্ধান চাওয়া হয়। সেই সাথে ছিনতাইকারীদের ধরিয়ে দিতে আরএমপির পক্ষ থেকে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়।
পরে বুধবার ভোরে নগরীর পাঠানপাড়া এলাকায় গোপন সংবাদেরভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামি আব্দুর রাজ্জাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন আসামির দেওয়া তথ্যেরভিত্তিতে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশের ওই টিম সকালে নাটোর সদর থানার বলারিপাড়ায় অভিযান পরিচালনা করে অপর আসামি রাজীব হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা তাদের সহযোগীদের সহায়তায় ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করে এবং ছিনতাই করা টাকাগুলো তারা রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ভাগ বাটোয়ারা করে বলেও জানায়।
আসামিদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলার রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পরে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৯এপ্রিল/এলএ)

মন্তব্য করুন