চাঁদপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন
চাঁদপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে মো. রিপন প্রধানিয়া (৩৫) নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার বিকালে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরী এ রায় দেন।
এ ছাড়াও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের পৃথক ধারায় (৭ ধারায়) অপহরণের অপরাধে আরও ১৪ বছরের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামি রিপন প্রধানিয়া সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ির প্রয়াত নোয়াব আলী প্রধানিয়ার ছেলে। তার বর্তমানে ঠিকানা শহরের বিটি রোড।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আসামি রিপন প্রধানিয়া বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে সব সময় এ স্কুলছাত্রীকে প্রেম নিবেদন ও কুপ্রস্তাব দিত। বিষয়টি ওই ছাত্রী তার বাবাকে জানায়। তার বাবা রিপনকে এই ধরণের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এতে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়। ২০২০ সালের ২৬ মে বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রী নিজ এলাকা থেকে বের হয়ে একটি দোকানে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে যায়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা রিপন ও তার সহযোগীরা স্কুল ছাত্রীকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় জোরপূর্বক তুলে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে কোমল পানীয়র সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য পাণ করিয়ে ধর্ষণ করে।
স্কুল ছাত্রীর বাবা জানান, তিনি মেয়েকে তুলে নেওয়া হয়েছে জানতে পেরে বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। পরবর্তীতে তিনি ওই দিন রাতেই চাঁদপুর সদর মডেল থানায় বিষয়টি অবহিত করেন এবং থানায় রিপন প্রধানিয়াকে আসামি করে মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামি রিপন প্রধানিয়াকে গ্রেপ্তার ও স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে।
মামলাটি তদন্ত করেন তৎকালীন চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলাশ বড়ুয়া। তিনি মামলা তদন্ত শেষে ওই বছর ৩০ আগষ্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট সাইয়েদুল ইসলাম বাবু জানান, মামলাটি গত ৩ বছর চলাকালীন সময়ে ৯ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। স্বাক্ষ্য প্রমাণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে আদালতে আসামির উপস্থিতিতে বিচারক এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে জমির বিরোধে একজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
মামলার সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন খোরশেদ আলম এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এবিএম সানা উল্লাহ।
(ঢাকাটাইমস/৩০/এসএম)