ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রযুক্তিতে সচেতন করে গড়ে তুলতে হবে: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রযুক্তি সম্পর্কে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সচেতন করে গড়ে তুলতে হবে। যেমন মুখের বুলি আর বন্দুকের গুলি একবার বের হয়ে গেলে সেখান থেকে আর ফেরৎ আনা যায় না। সেরকম ইন্টারনেটও মুখের বুলি আর বন্দুকের গুলির মতো ফেরৎ আনা সম্ভব নয়। তাই ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
তিনি বলেন, কোন কিছু পোস্ট করার আগে সচেতন থাকতে হবে। স্বচ্ছ ও সৎ থাকাই হচ্ছে এই ইন্টারনেটের যুগে নিরাপদ থাকার একমাত্র উপায়।
রবিবার দুপুরে নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ হলরুমে সাইবার ক্রাইম তথা সাইবার বুলিং প্রতিরোধ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী পলক এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক নাহিদ সুলতানা, সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, ইউএনও মাহমুদা খাতুন, সাইবার টিনস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাদাত রহমান প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাইবার জগতটাকে নিরাপদ রাখার জন্য ডিজিটাল লিটারেসি, সাইবার সিকিউরিটি এবং সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের জন্য চারটি স্তরে কাজ করতে হবে। ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান এবং পরিবার পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এখানে সবচেয়ে প্রথম ও প্রধান কাজ আমাদের পরিবারে। কারণ অনেক সময় ছেলে-মেয়েরা ইন্টারনেটের দরজা দিয়ে অন্ধকার কোন গলিতে নিজের অজান্তে চলে যাচ্ছে। তাই আমাকে কম্পিউটার স্কিন এবং স্মার্ট ফোনেও খেয়াল রাখতে হবে। শিক্ষক ও বাবা-মাকে তার সন্তানের সাথে বন্ধুর মতো মিশতে হবে।
প্রযুক্তিগত উন্নয়ন করে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ও মেশিন লার্নিংকে ব্যবহার করে বাংলাদেশের সাইবার ক্রিমিনালদেরকে আমরা ট্রাক ড্রাউন করতে পারি। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে পারি। এই চলমান প্রক্রিয়াটা চলতে থাকবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হয়েছে। কোনো একজন নারী কিংবা কিশোরী অথবা কোনো ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে যদি কেউ কোনো কিছু আক্রমণ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর আইন প্রযোগ করতে পারে। সাইবার জগতটাকে নিরাপদে রাখা একক কোনো ব্যক্তি ও দেশের পক্ষে সম্ভব নয়। সাইবার অ্যাটাকের মাধ্যমে একটা দেশের সবকিছু ধ্বংস করে দেওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
পলক বলেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যেভাবে আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে এই দেশকে স্বাধীন করেছি তেমনি আমরা সাইবার যুদ্ধেও এই বাংলাদেশ ও সারাবিশ্বে সাইবার ক্রিমিনালদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে সারাবিশ্বে নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।
(ঢাকাটাইমস/০৫জুন/এসএম)