ভিসানীতিতে দিশাহারা হয়ে সরকার আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে: আহমেদ আযম

ভিসানীতির পর সরকার দিশাহারা হয়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের সাজা বাতিল ও গ্রেপ্তারকৃত নেতাদের মুক্তি এবং ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
আযম খান বলেন, ‘সরকার বলছে আমেরিকা ভিসানীতি বিএনপির বিরুদ্ধে প্রয়োগ করছে। আমরা ভিসানীতিকে স্বাগত জানাই। আমরা সুষ্ঠু ভোটের বিরুদ্ধে নই। আমরা চাই সুষ্ঠু নির্বাচন। সরকার প্রধান বলছেন, তারা আমেরিকা যাবে না, আমেরিকা থেকে কোনো পণ্য কিনবে না। বাংলাদেশে আমেরিকার ২০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ আছে। আমেরিকায় বাংলাদেশের সবচাইতে বেশি রপ্তানি বাজার। করোনার সময় আমেরিকা ছয় কোটি ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দিয়েছে। মিয়ানমার থেকে যে রোহিঙ্গারা আসছে তাদেরকে খাওয়ানো-পরানোর দায়িত্ব পালন করছে আমেরিকা। এখন সরকার শুধু অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।’
‘এ সরকার দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে জনগণকে বিপদে ফেলতে চায়’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমেরিকা আমাদের ওপর ভিসানীতি দেয়, স্যাংশন দেয়। এটা আমাদের জন্য আনন্দের নয়, লজ্জার কথা। স্বাধীন সার্বভৌমত্ব একটি রাষ্ট্রে অন্য দেশ নিষেধাজ্ঞা দেয়, শুধুমাত্র সেই দেশের সরকারের দুঃশাসন, দুর্নীতির কারণে। তাদের দুর্বৃত্তায়নের কারণে।’
‘বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাজা দিচ্ছে’ বলে অভিযোগ করে আহমেদ আযম খান বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিনা কারণে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। হয়রানি করছে। এর প্রমাণ আমেরিকার কাছে থাকায় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ভিসানীতি প্রয়োগ করেছে।’
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘আজকে এমন একটা অবস্থায় পৌঁছে গেছে আওয়ামী লীগ, তারা সম্পূর্ণভাবে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জনগণের আশপাশে তারা নেই। জোর করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তারা সব সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। তাদের রক্ষা হবে না, জনগণের গণঅভ্যুত্থানে তাদেরকে বিদায় করা হবে।’
‘জিয়াউর রহমান তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলেন, দেশের সব জনগণকে এক কাতারে নিয়ে এসেছিলেন’ মন্তব্য করে আহমেদ আযম খান আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশকে বিভক্ত করেছে। শহীদ জিয়ার পথ ধরে বেগম খালেদা জিয়া দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে আসতে দিচ্ছে না। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।’
এসময় ‘বিচার বিভাগের ঘাড়ে বন্দুক রেখে সরকার বেআইনি কাজ করছে’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘বিচারপতিদের আমি বলব, আপনারা সরকারের এমন অন্যায় নির্দেশ মেনে নেবেন না। অন্যথায় জনগণ আপনাদের বিচার করবে।’
তিনি সব ‘ফরমায়েশি সাজা’ বাতিল করে গ্রেপ্তারকৃত নেতাদের মুক্তির দাবি জানান।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম সিদ্দিকী, বিএনপির প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়ন বিষয়ক সহ-সম্পাদক অপর্ণা রায় দাস, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন ভুলু, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/০৬জুন/জেবি/এফএ)
সংবাদটি শেয়ার করুন
রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
রাজনীতি এর সর্বশেষ

রাজপথে ভোটডাকাত সরকারকে প্রতিরোধ করতে হবে: টুকু

আ.লীগ সরকারের ক্ষমতা তছনছ হয়ে যাবে: মির্জা আব্বাস

আ.লীগ সরকার দেশকে অরাজকতার দিকে ঠেলে দিয়েছে: কর্নেল অলি

সরকারের আয়ু আর ৩০ দিন: সমমনা জোট

রাস্তায় নেমেছি, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না: মির্জা ফখরুল

পশ্চিমারা বাংলাদেশের নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে: ১২ দলীয় জোট

ইইউ সরকারের একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের মতলব বুঝে ফেলেছে: এবি পার্টি

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, ফের সিসিইউতে স্থানান্তর

ঢাকার দুই প্রবেশমুখে বিএনপির সমাবেশ আজ
