তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, বন্যার শঙ্কা

নুর আলম বাবু, নীলফামারী
 | প্রকাশিত : ১৯ জুন ২০২৩, ১৬:৪৫

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। কখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আবার কখনও বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই। আবার কখনও বা প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সোমবার সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২দশমিক ২০সেন্টিমিটার। যা প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার দশমিক ৫সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) ওপর দিয়ে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম জানান, হঠাৎ করে শুক্রবার রাত থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। যদিও গতকাল রাত পর্যন্ত পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল, আজ সকাল থেকে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে। পরে দুপুরনাগাদ আবারও পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে যায়।

এদিকে হঠাৎ তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নীলফামারী ও লালমনিরহাটের নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের অনেক বসতবাড়িতে পানি উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়াও ফসলের খেত পানিতে ডুবে যাওয়ায় চিন্তিত কৃষকরা। হঠাৎ পানি বাড়ার ফলে গবাদি পশুপাখির খাবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।

ডিমলা উপজেলার ছোটখাতা গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে হঠাৎ উজানের পানি আসতে থাকে ফলে নদীতে পানি বৃদ্ধি পায়। শনিবার পানি কমলেও গতকাল রাত থেকে পানি হু-হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

একই গ্রামের ছবুর আলী বলেন, দীর্ঘ সাত মাস পরে হঠাৎ তিস্তায় পানি বৃদ্ধি ফলে আমাদের মতো নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি প্রবেশ করেছে। গরু- ছাগল, হাঁস-মুরগি ও ছোট বাচ্চাদের নিয়ে বিপদে আছি।

খালিশ চাপানী ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী ছানু বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে কিছু যায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। টেপা খড়িবাড়ী পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, আমার এলাকার কিছু জায়গায় পানি প্রবেশের খবর পেয়েছি। ওসব এলাকাগুলোতে সবসময় খোঁজ খবর রাখছি।

পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল লতিফ খান, গত বৃহস্পতিবার থেকে তিস্তার পানি হঠাৎ বাড়তে শুরু। তবে কয়েকটি নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। তিস্তার চরের কিছু কিছু আবাদ ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে। গবাদি পশুর খাবার নিয়ে কিছুটা শঙ্কায় পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ। তিস্তার কিছু কিছু অংশে ফসলি জমি ভাঙতে দেখা যাচ্ছে।

ডালিয়া পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর ও নিচ প্রবাহিত হতে শুরু করেছে। ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, পানি বাড়তে থাকলে বন্যার শঙ্কা রয়েছে। তবে বন্যার পরিস্থিতি মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড সর্বদা প্রস্তুত আছে।

(ঢাকাটাইমস/১৯জুন/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :