নির্দলীয় সরকার ছাড়া দেশে আর কোনো নির্বাচন নয়: মির্জা ফখরুল

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৯ জুন ২০২৩, ২৩:২৮| আপডেট : ১৯ জুন ২০২৩, ২৩:৫২
অ- অ+

নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার বিকালে বগুড়ার সেন্ট্রাল হাইস্কুল মাঠে বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সরকার বিরোধী আন্দোলনে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলা নিয়ে যুবদল, ছাত্রদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। দফা এক দাবি এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। যে সকল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে তখনই বাংলাদেশে নির্বাচন হবে। তার আগে কোন নির্বাচন নয়।

বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, গত ১০/১২ বছরে তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্তি করতে পারেনি এই সরকার। সীমান্তে হত্যা বন্ধ করতে পারেনি। এই সরকার আমাদের জন্য একটা জিনিস এনেছে, সেটা হলো ঋণ। ঋণের বোঝা আমাদের মাথার উপর চাপিয়ে দিয়েছে। লম্বা লম্বা মেগা প্রজেক্ট করেছে। এই প্রজেক্ট করতে যা খরচ হবার কথা তার চেয়ে তিনগুণ, চারগুণ টাকা নিয়ে আসছে। সেই টাকা আমাদের দেশের মানুষের পকেট থেকেই কেটে নেয়া হচ্ছে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুতের মিটারে ১ হাজার টাকা ভরলে ৩শ’ টাকা নাই। এরপরেও বিদ্যুৎ থাকে না। তাহলে গেলো কোথায় বিদ্যুৎ? এই যে বললেন বিদ্যুৎ ফেরি করে বিক্রি করবেন? এখন এত বিদ্যুৎ গেলো কোথায়? ওই টাকাও সব খেয়ে ফেলেছে তারা। তারা পুরো দেশটাকেই খেয়ে ফেলতে চায়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ৫২ তে তরুণ যুব সমাজ আন্দোলন করে ভাষার অধিকার নিয়ে এসেছে। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে। ৯০’এ আন্দোলন করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে। আজকে সেই তরুণ সমাজের উপর দায়িত্ব এসেছে গণতন্ত্রকে রক্ষা করবার। তাদের অধিকারকে রক্ষা করবার। ভোটের অধিকারকে রক্ষা করবার। চাকরি পাবার অধিকার রক্ষা করবার। স্বাস্থসেবা, মোটা ভাত, মোটা কাপড় পড়বার অধিকারকে রক্ষা করবার। আমরা খুব পরিষ্কার করে বলেছি এই লড়াই আমাদের বিএনপির লড়াই নয়। এ লড়াই সমগ্র জাতির লড়াই।

বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ১০ টাকা কেজি চাল দিতে চেয়েছিলো। ঘরে ঘরে চাকরি দিতে চেয়েছিলো। আওয়ামী লীগ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারেনি। লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার যুবকদের চাকরি দিতে পারেনি। আওয়ামী লীগ না করলে কারো চাকরি হয় না। তারা দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। তারা কি করে চাকরি দেবে?

চলমান বাজেট সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, এই বাজেট বড়লোকদের আরো বড়লোক বানানোর বাজেট। তাদের জোটের অন্যতম দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিএম কাদের সম্প্রতি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে মন্তব্য করে বলেন, দেশটা খাদের কিনারে দাড়িয়েছে। আরেকটু হলেই খাদে পড়ে যাবে। সরকারের সাথে থাকা নেতারাও এখন বুঝতে পেরেছে আওয়ামী লীগ দেশের কত বড় ক্ষতি করেছে।

মির্জা ফখরুল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি নাকি কারো ভয়ে ভীত নন, তাহলে ক’দিন আগে বিদেশ থেকে ঘুরে এসে বললেন কেন, আমেরিকা চাইলেই যে কোন দেশের সরকার পরিবর্তন করতে পারে। তারা আমাকে পছন্দ করে না। আমাকে সরাতে চায়?

বগুড়ায় তারুণ্যের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এসএম জিলানী। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিশেষ বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনাসহ আরো অনেকে।

(ঢাকাটাইমস/১৯জুন/এআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
নিষিদ্ধ হলো আওয়ামী লীগ
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরে ফের বিস্ফোরণ
বিএনপির কাছে সবার আগে বাংলাদেশ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব: মুন্না
শাহবাগ ছেড়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে আন্দোলনকারীরা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা