রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে যা বললেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০৩ জুলাই ২০২৩, ১৮:২০

আইনের প্রয়োগ আর পুলিশ সতর্ক থাকায় রাজধানী ঢাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে বলে জানালেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘পুলিশের সম্মিলিত প্রচেষ্টা যদি না থাকত তাহলে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক খারাপ অবস্থা থাকতে পারত। ইংল্যান্ডে ১ ঘন্টা বিদ্যুৎ কী পরিস্থিতি হয়েছে আমরা দেখেছি। আমাদের দেশে এমন পরিস্থিতি হয় না কারণ, দেশে পুলিশের উপস্থিতি ও আইন রয়েছে।’

‘তবে কিছু ঘটনা ঘটছে সেটা অস্বীকার করা যাবে না। তবে আমরা গভীরভাবে সতর্ক রয়েছি। ডিএমপি কমিশনার এই ব্যাপারে গভীরভাবে সতর্ক থেকে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে।’

সোমবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। গত ১ জুলাই পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামান তালুকদার হত্যাসহ বেশ কয়েকটি ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকরা এই সংক্রান্ত এক প্রশ্ন করেন।

ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা কিংবা পুলিশের প্রচেষ্টা না থাকলে ঢাকার অবস্থা অনেক খারাপ থাকতে পারত। ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে, তা আরো গতিবান করা হয়েছে।’

‘এ বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শকে নির্দেশনা রয়েছে এবং তা বাস্তবায়ন করছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার। গত ৪৮ ঘন্টায় আমরা ১৪৫ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছি। এর মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় গ্রেপ্তার হয়েছে ১১৪ জন এবং এর আগের ২৪ ঘন্টায় গ্রেপ্তার হয়েছে ৩১ জন।’

ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বাড্ডাসহ বেশ কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘বাড্ডায় একটি বাসায় ডাকাতির ঘটনায় ইতোমধ্যে অপরাধীরা চিহ্নিত হয়েছে। বাড্ডায় ট্রাকে গরু বিক্রির টাকা ডাকাতির ঘটনা চলন্ত অবস্থায় সড়কে ঘটেছে। এটা একটু জটিল।’

‘প্রথমত, একটা ট্রাকের মধ্যে এক সঙ্গে ৩০ জন ওঠে যাত্রা করলেন। মাঝখানে গিয়ে দেখা গেল আটজন লোক অন্য আচরণ করছে। তারাও যাত্রী হিসেবে উঠেছিল। এসব ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের একটু সচেতনতা দরকার। যেটির ব্যাপারে আমরা সবসময়ই ক্যাম্পেইন (প্রচারণা) করে থাকি যে অপরিচিত কারোর সঙ্গে গাড়িতে উঠবেন না।’

তিনি বলেন, ‘তবে গরু বিক্রির টাকা ডাকাতির ঘটনায় আমরা যতটুকু জেনেছি তাদের কাছে বড় ধরনের কোনো অস্ত্র ছিল না। এসব ঘটনার প্রত্যেকটিতেই আমরা অপরাধীদেরকে চিহ্নিত করার পর্যায়ে আছে। চিহ্নিত করা যাবে না সেটা আমরাও আশা করি না। চিহ্নিত করা গেলেই আসলে কাজ করা সম্ভব।’

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘ঈদের আগে ১ হাজার ৭৬৪ জন ছিনতাইকারীকে ধরা হয়েছে। আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে, আমাদের মনে রাখতে হবে ছিনতাইকারীদের আমরা যখন আইনের মাধ্যমে আদালতে পাঠায় তারা একটা সময় জামিন পেয়ে যায়। জামিন পেয়ে আবার সমাজের সাথে মিশে যায় তারা।’

রাজধানীতে ২ কোটি নাগরিক ঢাকায় বসবাস করেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এরমধ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে ৫০ লাখের বেশি মানুষ ঢাকায় যাতায়াত করেন। পৃথিবীতে অনেক দেশে ২ কোটি লোকও নেই। এছাড়া যেসব অপরাধ আমরা আগে থেকে নিবারণ করে ফেলি সেই বিষয়ে কোনো পরিসংখ্যান নেই। এই পরিসংখ্যান আমিও জানি না, কেউ জানতেও পারে না।

(ঢাকাটাইমস/০৩জুন/এসএস/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :