নোয়াখালীতে দুই হাসপাতালকে অর্থদণ্ড, ২ দালাল আটক

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৬ জুলাই ২০২৩, ১৬:৪৩

হাসপাতালে লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র ও অন্যান্য কাগজপত্র হালনাগাদ না থাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক ও ডিপ্লোমা নার্স না থাকায় নোয়াখালীতে দুইটি বেসরকারি হাসপাতালকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় রোগীদের প্রলোভন দেখিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করায় দুই দালালকে আটক করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন, র‌্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসান ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত দাশ।

অভিযানে সহযোগিতা করেন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. সোহরাব হোসেন।

অভিযানে নোয়াখালী ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যান নূর নবী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমজাদ হোসেনকে ২ লাখ টাকা, মুন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহিদুল ইসলামকে ১ লাখ টাকা ও আদর হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সময় মুন হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে রোগী ভর্তি করাতে আসা দুই দালালকে আটক করা হয়।

সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালীতে প্রায় পাঁচ শতাধিক বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে যার অধিকাংশই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তাদের প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন সময় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ভুল চিকিৎসা সহ হয়রানির শিকার হন এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. সোহরাব হোসেন বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিচালনা করার জন্য সরকারের সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়মনীতি রয়েছে। এসব নিয়মের তোয়াক্কা না করেই অনেকে তাদের প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্সসহ অন্যান্য জনবল নিয়োগ দেন না। অনেকে হাসপাতাল ও ক্লিনিকের কাগজপত্র হালনাগাদ করছেন না। এসব তথ্যে ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে আজ প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করা হয়েছে।

ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত দাশ বলেন, জরিমানাকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকেরা তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও জনবল দেখাতে পারেননি। এছাড়া তাদের ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া গেছে। এসব অপরাধে তাদের অর্থদণ্ড প্রদান করা হয় এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়।

র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসান অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় রোগী ও তাদের স্বজনদের থেকে প্রাপ্ত অভিযোগ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করেছি। জনস্বার্থে আমাদের এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।

(ঢাকাটাইমস/৭জুলাই/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :