পদ্মার ভাঙনে বিলীন রাজরাজেশ্বর চিরারচর গ্রাম

পদ্মার নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙন শুরু হয়েছে চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের চিরারচর গ্রামে। গত কয়েক দিনের ভাঙনে বহু পরিবার বসতভিটা ও ফসলি জমি হারিয়েছেন। ৫ কিলোমিটার চিরারচর এখন রয়েছে আঁধা কিলোমিটার। তাও এখন বিলীনের পথে। এতে আতঙ্কের মধ্যেই দিনরাত পার করছেন ভাঙন হুমকিতে থাকা স্থানীয় মানুষজন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গত ৩ বছরের নদীভাঙনের শিকার হয়ে ১ হাজার থেকে ১২শ বসতবাড়ি বিলীন ও অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। শেষ ২০/২৫টি বসতঘর ছিলো তাও ভাঙন শুরু হয়েছে। তারা তাদের বসতবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। এদের কেউ কেউ একাধিকবার নদীভাঙনের শিকার হয়েছেন।
ভাঙনের শিকার স্থানীয়রা জানান, অন্য কোথাও জায়গা-জমি না থাকায় আপাতত অন্যের জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছেন তারা। নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে ভাঙন বেড়ে যায়। তাই নদীভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা চান তারা।
ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হাজী মো. ইয়াছিন গাজী জানান, আগেও নদীতে বাড়ি ভাঙছে। আবারও নদীর পানি বাইড়া বাড়ি ভাইঙা গেলো। দুই দিন হইলো অন্যের জায়গায় ঘর তুলছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আলী আহমদ বকাউল জানান, রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বড় ওয়ার্ড চিরারচর ১নং ওয়ার্ড। এ এলাকায় প্রায় ২ হাজার লোকের বসবাস ছিলো। ১ হাজার থেকে ১২শ বসতভিটা ছিলো। গতি কয়েক বছরের ভাঙনে পুরো শিলাচর নদীতে তলিয়ে গেছে। যাও ২০/২৫টি পরিবার বসবাস করতো তারা ভাঙনের কবলে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। যে কোন মুহুর্তে চিরারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গাজী বাড়ি জামে মসজিদটি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।
রাজরাজেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী হযরত আলী বেপারী জানান, চিরারচর রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের শেষ সীমানা। ১নং ওয়ার্ডে অবস্থিত চিরারচর এলাকাটি ছিলো ৫ কিলোমিটার জুড়ে। গতি কয়েক বছরে ভাঙনে ১ হাজার থেকে ১২শ ঘরবাড়ি বিলীন ও অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। যাও ২০/২৫টি পরিবার বসবাস করছিলো তারাও পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বিলীনের পথে। এছাড়া ভাঙনের মুখে রয়েছে চিরারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গাজী বাড়ি জামে মসজিদসহ বসতভিটা। বিষয়টি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৭ আগস্ট/ইএইচ)

মন্তব্য করুন