জিয়ার মতোই স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেছেন খালেদা জিয়া: আ.লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ আগস্ট ২০২৩, ২৩:২৬

জিয়াউর রহমানের মতোই খালেদা জিয়া স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিকে বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। তারা বলেন, বিএনপির ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। তাদের বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। জিয়ার মতোই খালেদা জিয়া স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিকে স্বাধীন দেশে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়ে এমপি, মন্ত্রী বানিয়েছেন।

বুধবার বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাৎবার্ষিকীতে উপলক্ষে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তারা। আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। জিয়াউর রহমান এ হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। জিয়াউর রহমানের পর খালেদা জিয়া স্বাধীনতা পরাজিত শক্তিকে পুনরায় বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিল। বিএনপি সেই ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই।

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আলোচনার কথা নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, আলোচনা-সমঝোতার প্রশ্নই আসে না। নির্বাচন উপলক্ষে কারো সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না। নির্বাচনে কে আসলে আর আসলো না সেটা আমোদের কথা নয়,আমদের কথা হলো সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।

সবাইকে ১৯৭১ সালের মতো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের আবার ক্ষমতায় আসতে হবে, শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে।

দলের আরেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন লড়াই করেছেন বাঙালির মুক্তির জন্য। বঙ্গবন্ধু আমাদের আর্দশিক নেতা নয়, সারাবিশ্বের আর্দশিক নেতা। বঙ্গবন্ধু সারাজীবন সম্রাজ্যবাধীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল খুনি মোস্তাক, জিয়াউর রহমানসহ স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার বন্ধ করতে যারা ষড়যন্ত্র করেছে তারাই স্বাধীনতার অপশক্তি এরাই হত্যার সঙ্গে জড়িত। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি ছিলেন খুনের মাষ্টার মাইন্ড। তার বড় প্রমাণ হলো তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার বন্ধ করতে ইনডেমিনিটি জারি করেছিল। স্বাধীনতা বিরোধীদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিলে। একই ধারাবাহিতকায় খালেদা জিয়া স্বাধীনতা বিরোধীদের এমপি, মন্ত্রী বানিয়েছিল।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মণি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে দিয়ে একটি পরিবার ও একটি দেশকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। স্বাধীনতার পারজিত শক্তি কখনো দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। দেশ বিরোধীরা এখনো ষড়ডন্ত্র লিপ্ত।

সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধস্ত দেশকে গড়ে তুলতে কাজ শুরু করেছিল তখনি পরাজিত শক্তি তাকে সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশকে অন্ধকার পাঠিয়েছিল। এরপরে সব বাধা অতিক্রম করে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে বাংলাদেশকে আলোকিত করেছেন। এই শেখ হাসিনা হত্যা করার জন্য বিএনপি গ্রেণেড হামলা করেছিল। জিয়াউর রহমানের ছেলে তারেক রাহমান হাওয়া ভবনে বসে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য ষড়যন্ত্র করেছে।

আলোচনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিমসহ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

(ঢাকাটাইমস/১৬আগস্ট/জেএ/ইএস/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :