শ্রীপুরে আবারও বেড়েছে ডিম ও মুরগির দাম

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
| আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৩, ১৪:০৫ | প্রকাশিত : ২০ আগস্ট ২০২৩, ১৩:৫০

গাজীপুরের শ্রীপুরের বাজারগুলোতে সকল প্রকার মাছের দামে বেড়েছে। এদিকে আবারও বেড়েছে ডিম ও ব্রয়লার মুরগিসহ যাবতীয় নিত্যপণ্যের দাম।

পাঙ্গাশ ছাড়া বাজারে তিনশ টাকার নিচে কোনো মাছ নেই। গরু আর খাসির মাংসের কথা তো চিন্তাও করতে পারে না অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার। এদিকে চড়া সবজির বাজারও।

রবিরার সকালে গাজীপুরের শ্রীপুরে কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা বাজারের মাছ বিক্রেতা মোহাম্মদ ফজলু মিয়া কাছে মাছের দাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাঙ্গাশ ৩০০ টাকা, রুই ৪০০টাকা, কাতল ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ৩০০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে দামের পার্থক্য জানতে চাইলে ফজলু মিয়া বলেন, পাঙ্গাশের দাম বাড়ছে। ২৫০-৩০০ টাকা ছিল। বাকিগুলা তো আগের দামেই আছে।

সরেজমিনে মাওনা চৌরাস্তা ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে ভাসমান মাছ বাজারে গিয়ে দেখা গেছে বিভিন্ন সাইজের ইলিশ উঠেছে বাজারে। দাম অনেকের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আধাকেজি ওজনের ইলিশের কেজি হাজার টাকার বেশি। ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জন্য ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা। এক কেজির কাছাকাছি ওজনের ইলিশ ১৮০০ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত।

এছাড়া এই বাজারে পোয়া মাছের কেজি ৪০০ টাকা কেজি, তুলার ডাডি ৪৫০ টাকা, চিংড়িগুড়া ও বড় ৮০০ টাকা কেজি, সুরমা মাছের কেজি ৩২০ টাকা, ট্যাংড়া মাছ ৫০০ টাকা কেজি, মৃগেল মাছের কেজি ৩০০ টাকা, বাতাসি মাছের কেজি ৩৫০ টাকা।

এদিকে ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহে ১৮০-১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আবার তা ২২০ টাকায় পৌঁছেছে।

দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মুরগি বিক্রেতা কাজল বলেন, আড়তে দাম বেশি আমরা কেজিতে ১০-১৫ টাকা লাভ পাই।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ফারুক মিয়া ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভাসমান বাজারে বাজার করতে আসেন রবিবার সকালে। আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আয়ের চাইতে ব্যয় বেশি। এমন কোনো অপশন নাই যে, আপনি কম দামে কিছু কিনতে পারবেন। প্রতি মাসেই ঋণ হচ্ছি। এভাবে চলে না।

সবজির দামের বিষয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে মুদি ব্যবসায়ী কালাম মিয়া বলেন, কি বিক্রি করুম আর কি কিনুম! সবার অবস্থা একই। আমার থেকে যারা কেনে, তারাও কষ্টে আছে। সব জিনিসের দাম বেশি। আমি কিছু কিনতে গেলে সেখানেও দাম বেশি। সকালে এক কেজি বরবটি কিনতে গেছি, দেখি ৮০ টাকা। পরে আধা কেজি নিয়া আসছি। টমেটো কিনি না কতদিন মনে নাই।

এখানকার বাজারে প্রতি কেজি ঢেড়স বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপের কেজি ৫০ টাকা, পটল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, বেগুনের কেজি ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, লাউ ৬০ থেকে ৮০ টাকা পিস, কচুরমুখী ৮০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা, লেবুর হালি ২০ থেকে ৩০ টাকা।

বাজারে আসা ক্রেতারা বলেন, অতি তাড়াতাড়ি বাজার মনিটরিং করে দাম নির্ধারণ করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই। তা না হলে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের মাঝে জিনিসপত্রের দামে স্বস্তি ফিরে আসবে না।

(ঢাকাটাইমস/২০ আগস্ট/ ইএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :