মহাসড়কের দুপাশে ময়লার ভাগাড়, দেখার কেউ নেই

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২২ আগস্ট ২০২৩, ১৪:২৭ | প্রকাশিত : ২২ আগস্ট ২০২৩, ১৪:১৩

গাজীপুরের শ্রীপুর অংশের ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ সুফিয়া কটন মিল এলাকায় মহাসড়কের দুইপাশে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী, যেনও দেখার কেউ নেই। সড়কটিতে বাসাবাড়ি, কারখানা ও বাজারের ময়লা ফেলায় এ দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে। ময়লা-আবর্জনা থেকে সৃষ্ট দুগর্ন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে আশপাশের বাসিন্দারাসহ মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কের ময়মনসিংহ লেনে ধরে কিছুদুর এগুতেই ময়লা ফেলা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সেখানে স্তুপে পরিণত হচ্ছে। এতে মহাসড়কে গাড়ি চলাচলের অংশ সরু হয়ে পড়েছে। ময়লার ভাগাড়ে ১৫/২০টি বস্তা মুখ বেঁধে ফেলে রাখা হয়েছে, ভেতরে পঁচে গলে গিয়ে পোঁকা হয়েছে, দুর্গন্ধ তৈরি হওয়ায় সেখানে দাড়িয়ে থাকাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।

এছাড়াও টানা বৃষ্টিতে ময়লার অবশিষ্টাংশের দুর্গন্ধযুক্ত পানি মহাসড়কসহ আশপাশে ছড়িয়ে পড়েছে। ময়লার ভাগাড়ের ১০০ গজ উত্তরে রয়েছে একটি মাদ্রাসা, মহাসড়কের পূর্ব পাশে রয়েছে একটি মসজিদ, এছাড়াও আশপাশে রয়েছে অসংখ্য বাড়িঘর।

মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা রাশিদুল হাসান বলেন, এই ময়লার ভাগাড়ের কারণে আমার মাদ্রাসা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। ময়লার ভাগাড়ে মহাসড়ক সরু হওয়ায়, মাদ্রাসায় আসা শিক্ষার্থীদের দুর্ঘটনা ঝুঁকি বেড়েছে। ময়লাতে যে পোঁকা হয় তা হাঁটতে গেলে পায়ে উঠে যাচ্ছে। বৃষ্টি হলে এই ভাগাড়ের দুর্গন্ধযুক্ত পানি আশপাশে ছড়িয়ে পড়ায় বিপন্ন এক নগরে আমাদের বসবাস করতে হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা জালাল মিয়া বলেন, আমার বাড়ির তিনটি ঘর স্থানীয় গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকদের কাছে ভাড়া দেয়া ছিল। ভাগাড়ের দুর্গন্ধে টিকতে না পেরে তারা বাসা ছেড়ে গিয়েছে। নিজের বাড়ি হওয়ায় অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে আমরা থাকতে বাধ্য হচ্ছি। ভাগাড়ের পূর্ব পাশে রয়েছে জপ্তার পাড় জামে মসজিদ।

মসজিদের মুসল্লি হাজী মামুনুর রশিদ বলেন, মহাসড়কের পাশে ফেলা বর্জ্যে দুর্গন্ধ তৈরি হয়ে মুসুল্লিদের নামাজ পড়তে অসুবিধা হয়। মসজিদ পাক-পবিত্র জায়গা, বৃষ্টিতে বর্জ্যে অংশের পানি আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে, তখন হেঁটে মসজিদের যাওয়া যায় না।

মহাসড়কের পাশে ময়লা ফেলা প্রসঙ্গে তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন সরকার বলেন, আগে এখানে ময়লা ফেলা বন্ধ করতে গ্রাম পুলিশ বসিয়ে পাহারা দিয়েছিলাম। জনবহুল এলাকায় এভাবে বর্জ্য ফেলা ঠিক না। কিছুদিন বন্ধ ছিল। মানুষের দুর্ভোগ বিবেচনা করে ওই স্থানে ময়লা ফেলা বন্ধ ব্যবস্থা নেয়া হবে। যে ময়লাগুলো ফেলা হয়েছে তা অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২২ আগস্ট/ইএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

সারাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :