কাপাসিয়ায় শিক্ষককে কুপিয়ে জখম করল সন্ত্রাসীরা, প্রতিবাদে বিক্ষোভ-মানববন্ধন

কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২২ আগস্ট ২০২৩, ২০:২৯

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় চরদুর্লভ খান আ. হাই সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. নূরুল ইসলাম বিএসসিকে কুপিয়ে হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়ার প্রতিবাদে পৃথক পৃথক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

মঙ্গলবার সকালে ওই বিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করে এবং বিকালে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে একটি মানববন্ধন করেন। দুপুরে ওই শিক্ষকের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা করেন।

জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নে চরদুর্লভ খান আ. হাই সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ওই শিক্ষকের বারিষাব গ্রামের বাড়ি পর্যন্ত যান। সেখান গিয়ে তারা একটি প্রতিবাদ সভায় তাদের প্রাণপ্রিয় শিক্ষকের ওপর এই জঘন্য হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। পরে একই দিন বিকালে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি কাপাসিয়া উপজেলা শাখা ও বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের আয়োজনে উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি কাপাসিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক মো. আইন উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. রায়হান উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সাংবাদিক নেতা শামসুল হুদা লিটন, মো. মোবারক হোসেন প্রধান, শহিদুল্লাহ আজাদ, মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান। পরে তারা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও কাপাসিয়া থানার ওসির কাছে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে একটি স্মারকলিপি দেন।

উল্লেখ্য, গত রবিবার রাত সাড়ে সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় বেলতলী বাজারের হোমিওপ্যাথি ওষুধের দোকান বন্ধ করে নূরুল ইসলাম বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে নূরার ব্রিজের পূর্ব পাশে এলে ৮-১০ জন সশস্ত্র দুবৃর্ত্ত তার গতিরোধ করে এলোপাথাড়ি মারপিট ও কোপাতে থাকে। এ সময় দুর্বৃত্তরা পিটিয়ে তার কোমরের নিচের অংশ, ডান হাতের দুই জায়গা ও বাম হাতের এক জায়গার হাড় ভেঙে দেয়। পরে তারা ডান হাতের কব্জির রগ ও ডান পায়ের হাঁটুর নিচের মাংস পেশী ও রগ কেটে দিয়ে তাকে পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেয়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠালে তার অস্ত্রোপাচার করা হয়।

কাপাসিয়া থানার ওসি এএইচএম লুৎফুল কবীর জানান, এ বিষয়ে ওই শিক্ষকের স্ত্রী বাদি হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২২আগস্ট/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :