শোকের মাসে শিক্ষা কর্মকর্তার আনন্দভ্রমণ ঘিরে নানা প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৫ আগস্ট ২০২৩, ১৯:২৯
টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণের একটি দৃশ্য। প্রতীকী ছবি

চলমান শোকের মাসে পছন্দের শিক্ষকদের নিয়ে বাস ভাড়া করে আন্দভ্রমণে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে রাজশাহীর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমকর্তা মো. সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। প্রাথমিকের দ্বিতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন চলার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কার্যদিবসে অর্ধশত শিক্ষক নিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তার ভ্রমণবিলাসের খবরে অন্য প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

বলা হচ্ছে, সফরসঙ্গী শিক্ষকদের নিয়ে বিশেষ সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন ওই শিক্ষা কর্মকর্তা। ওই আন্দভ্রমণে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল মোমেন ও সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. গোফরান হালিম এবং ৫০-৬০ জন শিক্ষক অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘কোনো আনন্দভ্রমণ নয়। শোকের মাসে কেন আনন্দভ্রমণ করব। ব্যক্তিগত কাজে সুনামগঞ্জ গিয়েছিলাম, তখন হাছন রাজার বাড়িটিও দেখে আসলাম আর হাওরের সৌন্দর্যও উপভোগ করলাম। আমার সঙ্গে ৫-৬ জনও ছিল না। কোনো শিক্ষক ছিল না। সাধারণ মানুষ ছিল।’

তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছ থেকে ছুটি নিয়ে গিয়েছিলেন দাবি করে বলেন, ‘ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দিয়ে আজ (শুক্রবার) সকালে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিটিং করেছি। বৃহস্পতিবার রাতেই ফিরে এসেছি।’

নিজ গাড়িতে তিনি গিয়েছেন এবং তাতে আসন খুবই সীমিত উল্লেখ করে শিক্ষকদের নিয়ে হাওরে যাওয়ার কথা অস্বীকার করেন শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম। বলেন, ‘গাড়িতে আনন্দ ভ্রমণের কোনো ব্যানারও ছিল না।’

তবে ওই আনন্দভ্রমণের কিছু ছবি ঢাকা টাইমসের হাতে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভ্রমণে যাওয়া শিক্ষকেরা কিছু ছবি পোস্ট করেছেন। এতে দেখা গেছে, বাসের ভেতর শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদুলকে ঘিরে সেলফি তুলছেন শিক্ষকেরা। বাসটিতে ৫৪টির মতো আসন রয়েছে। প্রতি আসনেই রয়েছেন বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

অভিযোগ উঠেছে, সম্প্রতি সাইদুল ইসলামের স্বাক্ষরে ডেপুটেশনের আদেশ পাওয়া এক নারী শিক্ষকের স্বামী এই আন্দভ্রমণের অর্থের যোগান দিয়েছেন, যিনি নিজেও ওই বাসে ছিলেন।

এর আগেও গত ১২ আগস্ট পছন্দের শিক্ষকদের নিয়ে আনন্দ ভ্রমণে যাওয়ার তথ্য পেয়েছে ঢাকা টাইমস।

শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম কি ছুটি নিয়ে বা অনুমতি নিয়ে ওই আনন্দ ভ্রমণে গিয়েছিলেন- তা নিশ্চিত হতে রাজশাহী বিভাগীয় উপপরিচালক (প্রাথমিক শিক্ষা) শেখ মোহাম্মদ রায়হান উদ্দিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। এমনকি হোয়াটসঅ্যাপে বিষয় ও প্রশ্ন উল্লেখ করে বার্তা পাঠানো হয়। ওই বার্তা তিনি সিন (দেখে) করলেও কোনো সাড়া দেননি।

(ঢাকা টাইমস/২৫আগস্ট/আরআর/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :