নারায়ণগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-ভাঙচুর, আহত ১০

বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত মুখে কালো কাপড় সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচিতে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির কর্মসূচিতে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এতে সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব সংলগ্ন সড়কে ওই ঘটনা ঘটে৷ পরে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন মিছিলের জন্য নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে দুপুর থেকেই জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। এসময় নেতৃবৃন্দের বক্তব্য চলাকালে বিকাল ৪টার দিকে লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় মহানগর যুবদলের পদবঞ্চিত মাজাহারুল ইসলাম জোসেফ সমর্থকরা। এ সময় তারা নেতাকর্মীদের এলোপাতাড়ি লাঠিপেটা করে এবং ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে এবং মাইক ভাংচুর করে।
একপর্যায়ে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করে হামলাকারীরা। পরে ব্যাটারিচালিত একটি স্কুটারসহ নগরীর প্রধান সড়কে কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর করে।
তাণ্ডব চালিয়ে হামলাকারীরা ফিরে যাওয়ার সময় পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুনরায় জড়ো হয়ে মুখে কালো কাপড় বেঁধে নগরীতে মৌন মিছিল করেন।
দলীয় সূত্রমতে, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয়ভাবে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুবদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়। ঘোষিত কমিটির শীর্ষ পদে স্থান পাননি মহানগর যুবদল নেতা মাজারুল ইসলাম জোসেফ। এ নিয়ে তিনি এবং তার সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হন এবং মহানগর বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা চালান। হামলাকারীদের সমর্থনে ছিলেন মহানগর বিএনপি, মহানগর যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলে পদ না পাওয়া নেতাদের কর্মীরা।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, যারা হামলা চালিয়েছে তারা সরকারি দলের এজেন্ট। সরকারি দলের নির্দেশে তারা আমাদের কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে। কিন্তু হামলা চালিয়ে তারা আমাদের কর্মসূচি ব্যর্থ করতে পারেনি।
সদর মডেল থানার ওসি আনিচুর রহমান জানান, কর্মসূচিতে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে। পরে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার সেল ছুড়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
(ঢাকাটাইমস/৩০আগস্ট/এআর)

মন্তব্য করুন