যমুনাসহ ৩ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২:৫২| আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২৩:০৮
অ- অ+

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দফায় দফায় পানি বৃদ্ধির কারণে টাঙ্গাইলের যমুনা নদীসহ জেলার তিন নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও জেলার অন্যান্য ছোট-বড় একাধিক নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁইছঁই। ফলে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নিম্নাঞ্চলে নতুন করে পানি প্রবেশ করছে। ইতোমধ্যে ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়াসহ যমুনা চরাঞ্চলে বেশ কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ি পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়াও বংশাই নদীর পানি মির্জাপুর পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিন্টার ও মধুপুর পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার কমে ৩ মিটার ৭৫ সেন্টিমিটার এবং কাউলজানি পয়েন্টে ১ মিটার ১৩ সেন্টিমিটার উপর, ফটিকজানী নদীর নলচাপা পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ৭০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার এসব নদীর পানি আরও কয়েক দিন বৃদ্ধির আশঙ্কা করছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এদিকে, এসব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার ভূঞাপুর, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর ও মির্জাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এরফলে ঘরবাড়ি, কবরস্থান, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। দিশেহারা নদীপাড়ের ভাঙন কবলিত মানুষ। এছাড়াও ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশের ফলে রোপণকৃত ধানের চারা ও বীজতলা তলিয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া পূর্বপাড়া গ্রামের কৃষক মো. রাশেদ আলী বলেন, কয়েকদিন আগে জমিতে ধানের চারা রোপণ করলাম। গত শুক্রবার বিকাল থেকে সেই জমিতে যমুনা নদীর পানি প্রবেশ করে প্রায় ৩ বিঘা জমির রোপণকৃত ধানের চারা তলিয়ে যাচ্ছে। আমার একার নয়, আশপাশে অন্য কৃষকের রোপণকৃত ধানের চারা ও বীজতলা তলিয়ে গেছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি হতে থাকলে পচে নষ্ট হবে।

যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নূরুল আমিন জানান, কিছুদিন আগেও টাঙ্গাইলের যমুনা নদীসহ জেলার ছোটবড় সকল নদ-নদীর পানি কমতে থাকলেও হঠাৎ কয়েকদিন যাবৎ আবারও উজান থেকে আসা পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধারণা করছি, পানি বৃদ্ধি পেলেও বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই। তবে, আরও কয়েকদিন যমুনাসহ জেলার অন্যান্য নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহতের আশঙ্কা করছি।

(ঢাকাটাইমস/২সেপ্টেম্বর/এআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আ.লীগকে নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো: জামায়াত আমির
জামালপুরে মাদ্রাসায় ছাত্রী ভর্তিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
ইউনাইটেড হাসপাতালের কাছে ডিএনসিসির কর বকেয়া ৩০ কোটি টাকা
শহীদ নিজামীর খুনিদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ: রফিকুল ইসলাম 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা