বরগুনায় উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

আনিসুর রহমান টুলু, বরগুনা
 | প্রকাশিত : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩:৫৭

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারটি এম শাহ আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে অনুপস্থিত ও অফিসের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর না করে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে মাসের পর মাস বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোসাম্মৎ খাদিজা খানম ও রনজিত চন্দ্র মিস্ত্রি পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।

এ বিষয় উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রণজিৎ চন্দ্র মিস্ত্রি বলেন, বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শনে যাওয়ার আগের দিন ওই বিদ্যালয়ের প্রধানকে ডেকে মধ্যাহ্ন ভোজের বিলাসবহুল খাবারের তালিকা তিনি দিয়ে থাকেন। অনেক অনিয়ম দুর্নীতি রয়েছে যা আমি আবেদনপত্রে উল্লেখ করছি।

এছাড়া উপজেলার অপর সহকারী শিক্ষা অফিসার মোছাম্মৎ খাদিজা খানম বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আমাকে পূর্বের তারিখ দেখিয়ে পরিবর্তন করেন যা সম্পূর্ণ বেআইনি। শিক্ষকরা তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে না চললে বিনা কারণে শোকজ করেন। বিভিন্ন বিদ্যালয়য়ের কমিটির সভাপতি তিনি মনোনীত করবেন তাকে বানাতে হবে এবং সেখানে তিনি উপস্থিত থাকেন।

অফিসের দুর্নীতির তথ্য কে ফাঁস করে এ নিয়ে তিনি আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, আমার সঙ্গে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাসিক মিটিংয়ে শিক্ষকদের উপস্থিতিতে রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দিয়েছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরকারি বরাদ্দকৃত টাকা তার অফিসের নিজস্ব কিছু লোকের মাধ্যমে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও দাপ্তরি কাজের কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে থাকেন। বারবার বদলি হওয়া সত্ত্বেও তিনি তদবির করে পাথরঘাটা থেকে যান। আমরা এর কারণ জানতে চাই। কিছুদিন আগে পাথরঘাটা প্রেস ক্লাবের সংবাদ সম্মেলন জাতীয় পত্রিকায় দুর্নীতির বিষয় নিয়ে তার বিরুদ্ধে নিউজ হয়েছে। এর আগে তিনি যেখানে ছিলেন সেখানেও তার দুর্নীতি বিষয় নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় একাধিকবার নিউজ হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার টিএমশাহ আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার অফিসের তথ্য যারা ফাঁস করে তাদের অনেক দুর্নীতি আমার কাছে প্রমাণসহ রয়েছে। হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করি নাই এটা আমি সমস্যা মনে করি না।

পাথরকাটা উপজেলার চেয়ারম্যান গোলাম কবির বলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলেন এখন পর্যন্ত আমার কাছে কোন লিখিত অভিযোগ আসে নাই। আসলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। তবে টিওর এ রকম অনিয়ম করা ঠিক হয় নাই।

(ঢাকা টাইমস/১২সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :