এই বর্ষায় জ্বর-সর্দি-কাশি থেকে শিশুকে সুরক্ষিত রাখবেন যেভাবে

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
  প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:০৭
অ- অ+

শেষ ওভারে ঝোড়ো ব্যাটিং করছে বর্ষা। এই সুযোগেই ভীষণ সক্রিয় হয়ে উঠেছে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং প্যারাইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ফ্লু ভাইরাস। এসব ভাইরাসের খপ্পরে পড়েই জ্বর, সর্দি, কাশির মতো একাধিক সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে বাচ্চারা।

তাই এই সময়টায় বাবা-মায়েদের সন্তানের শরীরের দিকে নজর ফেরানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের কথায়, বড়দের তুলনায় ছোটদের ইমিউনিটি অনেকটাই কম। তাই ছোটদের চটজলদি ফাঁদে ফেলছে এসব ভাইরাস।

একবার এসব জীবাণুর খপ্পরে পড়লে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যায় ভুগছে সন্তান। এমনকি জ্বর সেরে গেলেও থেকে যাচ্ছে সর্দি, কাশি ও ক্লান্তি। তাই যেনতেন প্রকারণে সন্তানকে ফ্লু ভাইরাসের থেকে দূরে রাখতে হবে।

ভাবছেন নিশ্চয়ই, ঠিক কোন উপায়ে এসব ভাইরাসের ফাঁদ থেকে ছোট্ট সোনাকে দূরে রাখতে পারবেন? সেই বিষয়ে বিশদে জানতে এই প্রতিবেদনটি দ্রুত পড়ে ফেলুন।

টিকা দিতে হবে

সন্তানকে প্রতি বছর নিয়ম করে ফ্লু ভ্যাকসিন দিতে হবে। এতেই তার শরীরে প্যারাইনফ্লুয়েঞ্জা বা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের নতুন সব স্ট্রেনের বিরুদ্ধে ইমিউনিটি তৈরি হবে। তাই এসব জীবাণু আর সহজে সন্তানকে কাবু করতে পারবে না।

একান্তই রোগের ফাঁদে পড়লে ছোট্ট সোনা খুব সহজেই সেরে উঠবে। তাই তাকে নিয়মিত ভ্যাকসিন দিন।

হ্যান্ড হাইজিন শেখান

সাধারণত এসব ফ্লু ভাইরাস হাতের মাধ্যমে মুখ, চোখ এবং নাক হয়ে শরীরে পৌঁছে যায়। তারপর শরীরের অন্দরে গুণিতক হারে সংখ্যা বৃদ্ধি করে সমস্যা তৈরি করে। তাই এই সমস্যা থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে চাইলে সন্তানকে হ্যান্ড হাইজিন শেখাতে হবে।

সন্তানকে কিছুক্ষণ পরপর পানি এবং সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধোওয়ার পরামর্শ দিন। পানি-সাবান না পেলে অ্যালকোহল বেসড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে শেখান। এতেই তার সমস্যার খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা কমবে বলে জানাচ্ছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

মৌসুমি ফল, শাক সবজি থাকুক পাতে

সন্তানের ইমিউনিটি বাড়ানোর ইচ্ছে থাকলে তাকে মৌসুমি ফল, শাক ও সবজি গলাধঃকরণে অভ্যস্ত করে তুলুন। কারণ এসব প্রাকৃতিক খাবারে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের খনি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত।

তাই আজ থেকে ছোট্ট সোনার পাতে ফল, শাক ও সবজি রাখতে ভুলবেন না যেন! এতেই তার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্থ হবে।

মাস্ক পরতে শেখান

সময়টা ভালো নয়। বাইরে বের হলেই ধুলা-বালি চোখে-মুখে ঢুকে যায়। ঢাকাসহ অন্য শহরগুলোতে এই সমস্যা বেশি। তাই এই সময়ে সন্তান বাসার বাইরে গেলে তাকে মাস্ক পরান। শুধু এই নিয়মটা মেনে চলতে পারলেই ফ্লু ভাইরাসের ফাঁদ এড়ানো সম্ভব হবে।

অনেক অভিভাবক বাচ্চাদের মেডিকেল মাস্ক পরান। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, এসব মাস্ক কিন্তু একবার ব্যবহার করার পর ফেলে দিতে হবে। নইলে সংক্রমণের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে বৈকি!

বাড়িতেও সাবধান

বাড়িতে কারও জ্বর, সর্দি, কাশি রয়েছে কি? তাহলে তাকে বাচ্চার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। একান্তই যদি ছোট্ট সোনার কাছে যেতে হয়, তাহলে ভালো করে মাস্ক পরে তার পরই যান। এই কাজটা করলেই এড়ানো যাবে সংক্রমণের ফাঁদ।

(ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/এজে)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
মোহাম্মদপুরে ৩৮০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
সাংবাদিক সাইদুরের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ 
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার তদন্ত রিপোর্ট দাখিল সোমবার
এবার বাংলাদেশের চার টিভি চ্যানেল ইউটিউবে বন্ধ করল ভারত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা