বিদ্যালয়ের নামে ভুয়া কমিটি দিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ, ৫ জনকে শোকজ

নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধ, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২২ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:৩৭

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের বাইয়ারা জয়নাল উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে জালিয়াতির মাধ্যমে মাঠ ভরাট প্রকল্প দেখিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে উন্নয়ন বরাদ্দের ৪ টন গম উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ৫ জনকে শোকজ করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

সূত্রে জানা যায়, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) কর্মসূচির আওতায় উপজেলার জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নের বাইয়ারা জয়নাল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটের জন্য ৪ টন গম বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দ প্রাপ্তির জন্য জমা দেওয়া প্রকল্প কমিটিতে ভুয়া পদবি ব্যবহার করে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আতিকুর রহমান ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য শাহজাহান সাজুসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে।

বরাদ্দ উত্তোলনের জন্য জমা দেয়া ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সভাপতির পদে প্রধান শিক্ষকের স্থলে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সিনিয়র শিক্ষক আতিকুর রহমানকে প্রধান শিক্ষক, সেক্রেটারির স্থলে বিদ্যালয় বিদ্যোৎসাহী সদস্য শাহ জাহান সাজু, সদস্যের স্থলে অভিভাবক সদস্য জালাল আহমদ ও বিদ্যালয় অফিস সহকারী গোলাম মোস্তফাকে শিক্ষক দেখিয়ে প্রকল্প কমিটি জমা দিয়ে বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলন করে নেয়। এছাড়াও এ প্রকল্প কমিটির অন্য সদস্য হলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ ইলিয়াস।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক পরিচয়দানকারী আতিকুর রহমান বলেন, সাজুর কথা বিশ্বাস করে আমরা স্বাক্ষর দিয়েছি। কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে, কত টাকা খরচ করা হয়েছে এ বিষয়ে অবগত নই। বিষয়টি বিদ্যালয়ের সভাপতির সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য আমি সাজুকে বলেছি। এই বিষয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি আমাদেরকে শোকজ করেছে।

শাহজাহান সাজু বলেন, প্রধান শিক্ষক না থাকায় আতিকুর রহমানকে প্রধান শিক্ষক দেখিয়ে এবং আমাকে ভুলক্রমে শিক্ষক দেখিয়ে প্রকল্প কমিটি জমা দেয়া হয়েছে। এতে দোষের কিছু দেখছি না। প্রকল্পের কাজ কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে সেটি মূল বিষয়।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহাদাত হোসেন সুমন বলেন, আমার সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা ছাড়া নিয়ম বহির্ভূতভাবে তারা এ কাজটি করেছে। বিষয়টি অবগত হওয়ার পর তাদেরকে শোকজ করা হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মিজানুর রহমান বলেন, আমি অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলাম, বিষয়টি আমার মনে পড়ছে না। বিষয়টি জেনে পরবর্তীতে আপনাকে জানাবো।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রায়হান মেহেবুব বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২২অক্টোবর/প্রতিনিধি/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :