মারাকানায় ব্রাজিল সমর্থকদের থুতু দিয়েছিলেন ডি মারিয়া

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ মানেই ফুটবল প্রেমীদের কাছে বাড়তি এক উন্মাদনা। এই দুই দল মুখোমুখি হলেই সমর্থকদের মাঝে বিরাজ করে বাড়তি উত্তেজনা। আারও একবার যার প্রমাণ পাওয়া গেল ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে। তবে ওই ম্যাচে ঘটেছে অপ্রীতিকর ঘটনা।
বুধবার (২২ নভেম্বর) মারাকানা স্টেডিয়ামে গ্যালারিতে সমর্থকদের মারামারির পর খেলা শুরু হতে বিলম্ব হয় ২৭ মিনিটের মতো। এরপর ম্যাচেও ছিল দুই দলের মারমুখী ভঙ্গি, রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে আর্জেন্টিনা মাঠ ছাড়ে ১-০ গোলের জয় নিয়ে।
গ্যালারিতে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের ওপর ব্রাজিল পুলিশের লাঠিচার্জ নিয়ে ইতোমধ্যেই সমালোচনা হচ্ছে। এ নিয়ে তদন্তে নামছে ফুটবল বিশ্বের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফাও। এরই মধ্যে এ কান্ডে নিজেদের মতামত দিয়েছেন লিওনেল মেসি ও নেইমার জুনিয়র। যদিও নেইমার ম্যাচে ছিলেন না।
ম্যাচ শেষ হয়েছে দিন দুয়েক হয়ে গেছে কিন্তু এ নিয়ে বিতর্ক যেন শেষই হচ্ছে না। বিতর্কের পালে এবার নতুন করে হাওয়া দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও। যেখানে দেখা গেছে, মাঠ ছেড়ে ড্রেসিংরুমে যাওয়ার সময় টানেলে ব্রাজিলের সমর্থকদের লক্ষ্য করে থুতু মেরেছেন আনহেল ডি মারিয়া।
এর আগে অবশ্য ব্রাজিলিয়ান সমর্থকরা উত্যাক্ত করেন ডি মারিয়াকে। টানেল দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে উদ্দেশ করে বিয়ার ছুড়ে মারেন ব্রাজিলের এক সমর্থক। ডি মারিয়া কিছুটা সরে গিয়ে নিজেকে রক্ষা করার পর আবার ফিরে এসে থুতু মেরেছেন।
মারাকানায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ শুরুর আগে গ্যালারির দক্ষিণ অংশে দুই দলের সমর্থকেরা বিবাদে জড়ান। পরে পুলিশ এসে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের ওপর লাঠিচার্জ করলে পরিস্থিতির অবনতি ঘটে, যা থামাতে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল দুই দলের খেলোয়াড়েরাই গ্যালারির দিকে ছুটে যান। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত হন। ম্যাচও শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের ২৭ মিনিট পর।
মারাকানা স্টেডিয়ামের এই কুরুক্ষেত্রের ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হলে বড় শাস্তির সম্মুখীন হতে পারে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল। এক্ষেত্রে জরিমানা কিংবা পয়েন্ট কর্তনের মতো শাস্তিও পেতে পারে দেশটি। এমনিতে এবারের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা তেমন সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। ৬ ম্যাচে মাত্র দুই জয়ে তারা টেবিলের ছয়ে অবস্থান করছে। আর্জেন্টিনার কাছে তাদের হার ঘরের মাঠে দীর্ঘ সময় পর বাছাইয়ে ব্রাজিলের জন্য প্রথম।
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বুধবার নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে বলেন, ‘ফুটবল মাঠে বা মাঠের বাইরের এই ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। খেলোয়াড়, সমর্থক, প্রতিযোগিতায় লিপ্ত দলগুলো এবং তাদের কর্মকর্তারা একটি নিরাপদ পরিবেশের দাবিদার।’
(ঢাকাটাইমস/২৪ নভেম্বর/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন