যুদ্ধবিরতির চতুর্থ দিনে মুক্তি পেল ৩৯ ফিলিস্তিনি ও ১১ ইসরায়েলি
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে হওয়া চারদিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তির অংশ হিসেবে চতুর্থ দফায় আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। বিনিময়ে গাজা থেকে আরও ১১ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।
মঙ্গলবার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির চতুর্থ দিনে মঙ্গলবার ভোরে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ৩৩ ফিলিস্তিনির মধ্যে ৩০ জনই শিশু ও ৩ জন নারী। অন্যদিকে হামাস আরও ১১ জিম্মিকে রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে। মুক্তি পাওয়া ১১ ইসরায়েলির মধ্যে ৯ জন শিশু ও ২ জন নারী রয়েছে। তারা সবাই ইসরায়েলের দৈত নাগরিক, এরমধ্যে ছয়জন আর্জেন্টিনার, তিনজন ফরাসি নাগরিক এবং দুইজন জার্মান নাগরিক।
শুক্রবার যুদ্ধে বিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে এ নিয়ে ইসরায়েল ১৫০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে এবং হামাস ৬৯ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে।
এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও দুই দিন বাড়ছে বলে জানিয়েছে কাতার।
সোমবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির চুক্তির এই ঘোষণা দিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মাজেদ আল-আনসারি হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, গাজা উপত্যকায় মানবিক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর চুক্তি হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলমান মধ্যস্থতার অংশ হিসেবে গাজা উপত্যকায় মানবিক যুদ্ধবিরতি অতিরিক্ত দু’দিনের জন্য বাড়ানোর একটি চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, মঙ্গলবার এবং বুধবার ১০ জন করে মোট ২০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এর বিনিময়ে দু’দিনে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী থাকা ৬০ ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে প্রথমবারের মতো সমঝোতায় যেতে রাজি হয় ইসরায়েল ও হামাস। কাতারের মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি ও বন্দি মুক্তিতে সম্মত হয় দুপক্ষ।
(ঢাকাটাইমস/২৮নভেম্বর/এমআর)