সিএনজি থামিয়ে ডাকাতির পর ৪ ভুয়া ডিবি আটক

রাজধানীর শ্যামপুরে সিএনজি থামিয়ে ডাকাতির পর ৪ ভুয়া ডিবিকে আটক করেছে শ্যামপুর থানা পুলিশ।
আটককৃতদের মধ্যে বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্য ও সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- মো. আলম (৬২), মো. আলমগীর হোসেন (৩৯), মো. পলাশ শেখ (৩৫), মো. সাব্বির হোসেন (৩৪)। তাদের মধ্যে মো. আলম বরখাস্তকৃত পুলিশ সদস্য ও মো. আলমগীর হোসেন সেনাবাহিনীর সদস্য বলে পরিচয় দেন।
বুধবার ডিএমপি মিডিয়া কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস) ড. খ. ম মহিদ উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে মহিদ উদ্দিন জানান, এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ৪০ ভরি স্বর্ণ ও তিন লাখ ৪৬ হাজার টাকা ডাকাতির সময় ভুয়া ডিবি পরিচয়ে চারজনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা বাজারের জ্যোতি জুয়েলার্সের মালিক তপন কুমার সাহা। তিনি প্রায়ই ঢাকার তাঁতী বাজার এলাকায় তার মামা প্রাণতোষ কর্মকারের ‘রাজকোট বুলিয়ন এন্ড জুয়েলার্স’ নামের প্রতিষ্ঠান থেকে স্বর্ণ ও মালামাল কিনে নিজের প্রতিষ্ঠান ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা নিয়ে যায়।
মঙ্গলবার বিকালে তপন ফরিদপুর থেকে রাজধানীর তাঁতী বাজার এসে ৩৮ দশমিক ৯৭০ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার এবং মামার কাছ থেকে ধার হিসেবে ৩ লাখ ৪৬ হাজার টাকা একটি হাত ব্যাগে নিয়ে ফরিদপুর যাওয়ার জন্য পোস্তগোলার উদ্দেশ্যে সিএনজিতে রওনা হন। এ সময় ঢাকা-মাওয়া রোডে পোস্তগোলা ব্রিজের পূর্ব পাশের ঢালে পৌঁছালে কেরানীগঞ্জের দিক থেকে আসা একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাস তপনের সিএনজির গতিরোধ করে। এরপর সাদা পোশাকে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে সিএনজি থেকে তপনকে টেনে হিঁচড়ে মাইক্রোতে উঠিয়ে নিয়ে তার হাত-পা ও চোখ বাঁধার চেষ্টা করে এবং চিৎকার করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
পরে তপনের সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকর ও নগদ টাকা ভর্তি ব্যাগ এবং ২টি মোবাইল কেড়ে নেন তারা।
ভুয়া ডিবি সদস্যদের আটক করার প্রক্রিয়া জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আসামিরা গাড়িটি নিয়ে ঢাকার দিকে যেতে থাকে। কিছু দূরে যাওয়ার পরেই রাস্তায় যানজটে গাড়িটি ঘুরিয়ে উল্টাপথে আসার সময় কর্তব্যরত সার্জেন্ট গাড়িটি সিগন্যাল দিয়ে থামায় এবং গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চায়।
তখন পলাতক আসামি মাসুদ সার্জেন্টের কাছে নিজেকে সেনাবাহিনীর অফিসার পরিচয় দেয়। অপহৃত ব্যক্তি তপন কুমার তখন পুলিশকে দেখে চিৎকার দিলে আসামিরা পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় শ্যামপুর থানার পুলিশের টহল টিম ঘটনাস্থলে আসলে ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশ এবং শ্যামপুর থানা পুলিশ মিলে আসামিদের আটক করেন।
আটককৃতদের কাছ থেকে সর্বমোট ৩৮ দশমিক ৯৭০ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার এবং ৩ লাখ ৪৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানানো হয়।
(ঢাকাটাইমস/২৯নভেম্বর/এইচএম//কেএ)

মন্তব্য করুন