সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে শ্বশুরের পথের কাঁটা জামাতা

সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে শ্বশুর আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন জামাতা নুরুল ইসলাম সাজেদুল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুজনই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এমপি হওয়ার আশায় একজন ছেড়েছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ অপরজন ছেড়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ।

আবদুল লতিফ বিশ্বাস এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে পাননি তিনি। দলটি ভরসা রেখেছে বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুল মমিন মণ্ডলের ওপর। তবে হাল ছাড়েননি লতিফ বিশ্বাস। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক এ মন্ত্রী। এ জন্য ছেড়েছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ। আশা করছেন মমিন মণ্ডলকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন। কিন্তু আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন তারই রাজনৈতিক ভাবশিষ্য নুরুল ইসলাম সাজেদুল। এমপি হওয়ার আশায় তিনি ছেড়েছেন বেলকুচি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ। নুরুল ইসলাম সাজেদুল সম্পর্কে লতিফ বিশ্বাসের জামাতা। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

বেলকুচি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেন, তাঁত সমৃদ্ধ বেলকুচি-চৌহালীর রাজনীতিতে লতিফ বিশ্বাসের বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে। বরাবরই তৃণমূলের পছন্দের নায়ক তিনি। একরকম গায়ের জোরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তার জামাতা সাজেদুল।

নৌকার প্রার্থী বিত্তশালী ও ধনকুবের হওয়ায় তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হতে লতিফ বিশ্বাসের বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি।

লতিফ বিশ্বাস নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার ওপর আস্থা রেখে বলেন, বেলকুচি-চৌহালীতে মজিদ মণ্ডল ও তার ছেলে মমিন মণ্ডল দু’জনই এমপি ছিলেন। অথচ এ দুই উপজেলার দৃশ্যত কোনো উন্নয়ন হয়নি। জনগণ তাদের ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। এ সময় তার জামাতার দ্বন্দ্ব না করে সমন্বিত শক্তি নিয়ে একসঙ্গে লড়া উচিত বলে মনে করছেন তিনি।

নুরুল ইসলাম সাজেদুল বলেন, ‘উনি নিজেই আমাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে বললেন। তার নির্দেশেই আমি মনোনয়ন তুলেছি। অথচ তিনিই প্রার্থী হলেন। বিষয়টি অপমানজনক।’

(ঢাকাটাইমস/২ডিসেম্বর/পিএস)