সরকারের হঠকারিতায় দেশের অর্থনীতি অন্ধকারে ঢেকে যাবে: এবি পার্টি
সরকারের হঠকারিতায় দেশের অর্থনীতি অন্ধকারে ঢেকে যাবে বলে মন্তব্য করে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) বলছে, একতরফা প্রহসনমূলক নির্বাচন আয়োজন ও বিরোধী দলকে নির্মূল করে আওয়ামী লীগ আবারও দেশে বাকশাল এবং তার প্রতিক্রিয়ায় নকশাল রাজনীতি চালু করতে যাচ্ছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচন হলে দেশে আবারও বাকশাল ও নকশালপন্থী রাজনীতি ফিরে আসবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে দলটি।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচন বাতিলের দাবিতে রাজধানীতে বুধবার বিকালে শতকণ্ঠে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ থেকে এ আশঙ্কা প্রকাশ করে আমার বাংলাদেশ পার্টি ‘এবি পার্টি’। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে কাকরাইল, বিজয়নগর, সেগুনবাগিচা, পল্টনসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিজয়-৭১ চত্বরে এসে শেষ হয়।
শতকণ্ঠে প্রতিবাদ শেষে বিজয়নগরস্থ বিজয়-৭১ চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক বিএম নাজমুল হক। এতে বক্তব্য দেন দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও এবি যুব পার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান প্রমুখ।
সমাবেশে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, বাকশালের রাজনীতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গণবিচ্ছিন্ন করে অগণতান্ত্রিক শাসকে পরিণত করেছিল। বাকশালের একদলীয় দূঃশাসনের প্রতিক্রিয়ায় বিচ্ছিন্নতাবাদী নকশালপন্থী গলাকাটা অপরাজনীতির উত্থান ঘটেছিল। যে বাকশাল থেকে তওবা করে পরে আওয়ামী লীগ আবার গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে ফিরে আসে।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একতরফা প্রহসনমূলক নির্বাচন আয়োজন ও বিরোধী দলকে নির্মূল করে আওয়ামী লীগ মূলত আবারও দেশে বাকশাল এবং তার প্রতিক্রিয়ায় নকশাল-এর রাজনীতি চালু করতে যাচ্ছে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হলে দেশে আবারও বাকশাল ও নকশালপন্থী রাজনীতি ফিরে আসবে।
তিনি সরকার ও জনগণকে সতর্ক করে আরও বলেন, এই সাজানো প্রহসনের নির্বাচন যারা বর্জন করেছে তারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বর্জন এবং যারা অংশ নিচ্ছেন তারা সবাই ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন।
যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, সরকারের দায়িত্ব জ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডের ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো একের পর এক আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় পড়ছে। সামনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। অতীত স্বৈরাচারদের পরিণতি জানার পরও সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জেদে সবাইকে একসাথে বিপদে ফেলছে। গত ৪০ বছর ধরে তিল তিল করে দেশ যে অর্থনৈতিক ভিতের ওপর দাঁড়িয়েছে সরকারের হঠকারীতায় তা আগামী কয়েক যুগের জন্য অন্ধকারে ঢেকে যাবে।
তিনি সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেন জনগণের, দুর্ভোগ চরমে পৌঁছে গেছে, জনরোষ বিস্ফোরিত হবার আগেই পদত্যাগ করুন।
মিছিল ও সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আমিনুল ইসলাম এফসিএ ও আব্দুল বাসেত মারজান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্যসচিব শাহ্ আব্দুর রহমান, মেহেদী হাসান চৌধুরী পলাশসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।
(ঢাকাটাইমস/০৬ডিসেম্বর/জেবি/ইএস)