বাংলা নাটকের দিকপাল নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন
বাংলা নাটকের গৌরজন নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন। আজ তাঁর ১৬তম প্রয়াণবার্ষিকী। তিনি জন্মেছিলেন ১৯৪৯ সালের ১৮ই আগস্ট ফেনীর সোনাগাজী থানার সেনেরখিল গ্রামে। বাংলার মাটিতে, বাংলার জলহাওয়ায় বাংলার প্রাণের ভাষাতেই জন্ম নেওয়া তাঁর নাটকগুলো বাংলা নাটকের সব উপাদানকে ছুঁয়ে যায় আধুনিক মননশীলতার স্পর্শ নিয়ে। এ কারণেই বাঙালির কাছে সেলিম আল দীন এক অবিস্মৃত নাম। নাট্যকার, নাট্যতাত্ত্বিক ও শিক্ষক সেলিম আল দীন ২০০৮ সালের ১৪ই জানুয়ারি মর্ত্যলোকের মায়া ত্যাগ করে চলে যান অনন্তলোকে। কিন্তু রেখে যান তাঁর অবিনশ্বর মহাকাব্যিক সব সৃষ্টিসম্ভার। তাঁর নাটকই বাংলা থিয়েটারের বহুযুগের প্রতীক্ষার অবসান ঘটায়। প্রতি বছরই নিয়ম মেনে ১৪ই জানুয়ারি আর ১৮ই আগস্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। কিন্তু তাঁকে, তাঁর অমর সৃষ্টি ও চেতনাকে আমরা কতটা অন্তরে, আচরণে ধারণ করি সেটা নিয়ে প্রশ্ন, সংশয় কিন্তু থেকেই যায়।
সেলিম আল দীন ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক। অবশ্য প্রথমে তিনি শিক্ষক হিসেবে ঢোকেন সেখানকার বাংলা বিভাগে। সৈয়দ আলী আহসান জাহাঙ্গীরনগরের উপাচার্য হলে স্যার তাঁর স্বপ্নের নাট্যতত্ত্ব বিভাগ খোলার সুযোগ পান। অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম স্যারের সহায়তায় নিরন্তর পরিশ্রমে সেলিম আল দীনের যোগ্য নেতৃত্বে দাঁড়িয়ে যায় বিভাগটি। পরবর্তীতে স্যার সব সময় স্বীকার করেছেন এই ঋণ। তাঁর প্রকাশিত রচনাবলির প্রথম খণ্ডটি উৎসর্গ করেছেন এই লিখে: ‘আচার্য সৈয়দ আলী আহসান।’ প্রচণ্ড আশাবাদী ও নিরক্ষাধর্মী সৃজনশীল মানুষ সেলিম আল দীন স্যার নিজের লেখালিখি নিয়েও বলতেন অনেক কথা। তিনি মনে বলতেন, ‘আমার মনে হয় লেখক জীবনের একেকটা পর্বে একজন লেখককে বাধ্য হতে হয়, এটা অনিবার্য, এটা লিখতে হবে আমাকে। সে তাগিদটা যখন প্রবল একটা আকাশের মতো হয়ে যায়, প্রবল হয়ে ওঠে তাগিদটা, তখন নিশ্চিতভাবে একজন লেখক লিখতে বাধ্য হন। যেকোনো লেখাই এমনকি পৃথিবীতে যেসব লেখাকে ডিটাচড বাই ইমপারশিয়াল আর্টস যেগুলোকে আমরা বলি, সেগুলোও এক ধরনের আত্মজৈবনিকতা আচ্ছন্ন। সেটি বোঝার উপায় নেই। কারণ লেখক যা কিছু ভাবেন- সেটা তার জীবনের মধ্য দিয়ে আবিষ্কার করেন বলেই ভাবেন, সে অর্থে এটা তার জীবনেরই অংশ। কাজেই ইডিপাস বলি বা আইসখলুসের নাটক যদি আমরা ধরি- যদিও তাকে ডিটাচড মনে হচ্ছে অন্যের কাহিনী তবু তা আত্মজৈবনিক।’ আমরা জানি, সেলিম আল দীন প্রেরণা পেয়েছেন হোমার, ফেরদৌসী, গ্যেটে আর রবীন্দ্রনাথের মতো কবিদের কাছ থেকে। তাঁদের কাছ থেকে বারবার ফিরে গেছেন একান্ত বাধ্যগত শিষ্যের মতো। আবার তাঁদেরকে গুরু মেনে তাঁদেরকে পেরিয়ে যাওয়ার একটা চেষ্টা দিনরাত মনের ভিতরে লালন করতেন তিনি। কিন্তু তিনি এটাও জানতেন তাঁর সেই আশা কোনোদিন পূরণ হওয়ার নয়। শেষদিকে লেখা তাঁর দিনপঞ্জির অসংখ্য পাতায় এর প্রমাণ আছে। সেলিম আল দীন যেসব কাজ করেছেন সেগুলির মূলে আছে পাশ্চাত্য শিল্পধারাকে চ্যালেঞ্জ করা এবং এর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে নিজস্ব শিল্প সৃষ্টি করে তা অনুশীলন করা। পাশাপাশি পরবর্তী প্রজন্মের লেখক, কবি, শিল্পী ও নাট্যকর্মীদের এই বোধে উজ্জীবিত করা যে- আমাদের শিল্প ঐতিহ্য নিয়েই আমরা তৈরি করতে পারি আমাদের নিজস্ব শিল্পজগৎ। পরের অনুকরণ করে কখনও নিজস্বতা অর্জন করা যায় না। খুব জোরের সঙ্গে বারবার বলেছেন- ‘অন্যের বসন কখনও নিজের হয় না। হয় না সেটা নিজের ভূষণ।’
৩.
সেলিম আল দীন বাংলা নাটকের মান অনেক উঁচুতে তুলে দিয়ে গেছেন। তাঁর সম্পর্কে একথা এখন বলাই যায় যে, তিনি বাংলা নাটকের একজন ক্ষণজন্মা পুরুষ। তিনি ভাগ্যবান ছিলেন, তাই নাটকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় তিনটি জিনিস নিজের করে পেয়েছিলেন। প্রথমটি হলো- নিজের নাটক লেখার প্রতিভা, দ্বিতীয় হলো নাটক মঞ্চায়নের জন্য নিজস্ব গ্রুপ এবং তৃতীয়টি, নাটক সম্পর্কে অধ্যয়ন ও গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্য বিভাগ। বলা যেতে পারে, নাটক লেখার মতো প্রায় নিকটতম উদ্ভাবনী সাংগঠনিক প্রতিভা ব্যবহার করে তিনি গড়ে তুলতে পেরেছিলেন ‘ঢাকা থিয়েটার’ (অন্যদের সহযোগে) ও ‘নাট্যতত্ত্ব বিভাগ’। এই তিনটি মাধ্যমই ছিল তার জন্য একে অপরের পরিপূরক। সেলিম আল দীন আপাদমস্তক ছিলেন একজন সৃষ্টিশীল মানুষ। অসম্ভব সৃজনশীল এই মানুষটির লেখালিখি ছিল সন্তানের মতো। কবিতা ও কবির প্রতি পোষণ করতেন সরাসরি পক্ষপাত। শিল্পের প্রায় সব শাখার জ্ঞানের সম্মেলন ঘটেছিল তার মধ্যে। সব সময় যেন সৃষ্টিশীলতার এক ধরনের ঘোরের মধ্যে থাকতেন। বাংলা নাট্য সাহিত্যের অপ্রতিরোধ্য নাট্য প্রতিভা সেলিম আল দীন স্বদেশ, স্বকাল, ইতিহাস ও সময়ের নিরন্তর প্রবাহের ভেতর তাঁর অন্বেষণকে সাহিত্যের মানুষেরা নিরন্তর শ্রদ্ধা করে এসেছে। জীবিত অবস্থায় লেখা, লেখার জন্য সাধনা ও সার্বক্ষণিক শিল্পবোধ তরুণ লেখকদের বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। নাট্য আঙ্গিকের ক্ষেত্রে, নাট্য গবেষণার মোড় পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এবং নাট্যের বিষয় ও ল্যান্ডস্কেপের বিশালত্বের ক্ষেত্রে তার কৃতি ও কৃতিত্ব ব্যাপক। মানবচরিত্রের গভীর ও ব্যাপক অনুসন্ধান তিনি লোকমানসের ভেতর করেছেন। সেলিম আল দীনকে অনেকে ঐতিহ্য অনুসন্ধানী নাট্যকার হিসেবেও মূল্যায়িত করে থাকেন। বঙ্গ-ভারতের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে কেন্দ্রে রেখেই তাঁর নাটকের ভিত্তিভূমি রচিত। বেদ থেকে শুরু করে রামায়ণ-মহাভারত হয়ে মধ্যযুগের সাহিত্য ছিল তাঁর বিচরণভূমি। অতীতের শিক্ষাকে তিনি বর্তমানের সঙ্গে একাঙ্গীভূত করেছেন। ঐতিহ্যের সূত্র ধরে সমকালকে ধরবার চেষ্টা ছিল তাঁর মধ্যে। তাঁর প্রায় সব নাটকেই ঐতিহ্যের অনুসন্ধান প্রবল। আমরা জানি, শিল্প বিষয়ে জ্ঞান অর্জন, নিজের শিল্পবিশ্বাস নির্মাণ করে তা অনুশীলন ও পরবর্তী প্রজন্মকে সেই শিল্প ধারণায় অবগাহনের প্রেরণা আমৃত্যু সঞ্চার করেন যিনি তিনিই তো একজন আচার্য হয়ে ওঠেন। সেই অর্থে সেলিম আল দীনের অবস্থান আমাদের শিল্প ও সাহিত্যক্ষেত্রে একজন আচার্যের মতোই। তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে যে দায়িত্ব তিনি পরবর্তী প্রজন্মের কাছে অর্পণ করে গেছেন, তা তাদেরকে অবিরাম প্রেরণা দিয়ে যাবে। গুটিকয়েক গতানুগতিক একাডেমিক গবেষণা ছাড়া সেলিম আল দীনকে মূল্যায়নের প্রচেষ্টা সচরাচর দেখা যায় না। মৃত্যুর পর লেখক সেলিম আল দীনের রাজনৈতিক-সামাজিক পরিচয়কে তার লেখার মধ্য দিয়ে অন্বেষণ করার নতুন সম্ভাবনা হয়তো তৈরি হয়েছে। এতদিন না হলেও আশা করা যায়, এখন সম্ভব হবে তার লেখার যথার্থ নান্দনিক বিচার।
৪.
নাট্যকার সেলিম আল দীন জন্মেছিলেন ফেনীর সোনাগাজী থানার সেনেরখিল গ্রামে। মফিজউদ্দিন আহমেদ ও ফিরোজা খাতুনের তৃতীয় সন্তান তিনি। শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ফেনী, চট্টগ্রাম, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও রংপুরের বিভিন্ন স্থানে। বাবার চাকুরির সূত্রে এসব জায়গার বিভিন্ন স্কুলে পড়াশুনা করেছেন তিনি। সেলিম আল দীন ১৯৬৪ সালে ফেনীর সেনেরখিলের মঙ্গলকান্দি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি. পাস করেন। ১৯৬৬ সালে ফেনী কলেজ থেকে এইচ.এস.সি.পাস করেন। ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে গিয়ে ভর্তি হন টাঙ্গাইলের করোটিয়ায় সা’দত কলেজে। সেখান থেকে স্নাতক পাসের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে এম.এ. ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯৫ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ.ডি. ডিগ্রি লাভ করেন সেলিম আল দীন। নাট্যকার সেলিম আল দীন বিজ্ঞাপনী সংস্থা বিটপীতে কপি রাইটার হিসেবে চাকুরি জীবন শুরু করলেও পরে সারাজীবন শিক্ষকতাই করেছেন। ১৯৭৪ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন এবং আমৃত্যু এই বিশ্ববিদ্যালয়েই ছিলেন তিনি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানও ছিলেন নাট্যকার সেলিম আল দীন।
৫.
নাট্যকার সেলিম আল দীন রচিত ও প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ‘সর্প বিষয়ক গল্প ও অন্যান্য নাটক’ (১৯৭৩)। তাঁর উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন’, ‘বাসন’, ‘মুনতাসির’, ‘শকুন্তলা’, ‘কিত্তনখোলা’, ‘কেরামতমঙ্গল’, ‘যৈবতী কন্যার মন’, ‘চাকা’, ‘হরগজ’, ‘প্রাচ্য’, ‘হাতহদাই’, ‘নিমজ্জন’, ‘ধাবমান’, ‘স্বর্ণবোয়াল’, ‘পুত্র’, ‘স্বপ্ন রমণীগণ’ ও ‘ঊষা উৎসব। রেডিও এবং টেলিভিশনে প্রযোজিত নাটকের মধ্যে আছে ‘বিপরীত তমসায়’ (রেডিও পাকিস্তান, ১৯৬৯), ‘ঘুম নেই’ (পাকিস্তান টেলিভিশন, ১৯৭০), ‘রক্তের আঙ্গুরলতা’ (রেডিও বাংলাদেশ ও বিটিভি), ‘অশ্রুত গান্ধার’ (বিটিভি, ১৯৭৫), ‘শেকড় কাঁদে জলকণার জন্য’ (বিটিভি, ১৯৭৭), ‘ভাঙনের শব্দ শুনি’ (আয়না সিরিজ, বিটিভি ১৯৮২-৮৩), ‘গ্রন্থিকগণ কহে’ (বিটিভি, ১৯৯০-৯১), ‘ছায়া শিকারী’ (বিটিভি, ১৯৯৪-৯৫), ‘রঙের মানুষ’ (এনটিভি, ২০০০-২০০৩), ‘নকশীপাড়ের মানুষেরা’ (এনটিভি, ২০০০), ‘কীত্তনখোলা’ (আকাশবাণী কোলকাতা, ১৯৮৫)। নাট্যকার সেলিম আল দীন রচিত গবেষণাধর্মী নির্দেশনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ‘মহুয়া’ (ময়মনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে, ১৯৯০), ‘দেওয়ানা মদিনা’ (ময়মনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে, ১৯৯২), ‘একটি মারমা রূপকথা’, ‘কাঁদো নদী কাঁদো’, ‘মেঘনাদ বধ’ (অভিষেক নামপর্ব)। অন্যান্য: ‘চাকা’ নাটক থেকে চলচ্চিত্র নির্মিত হয় ১৯৯৪ সালে, ‘কীত্তনখোলা’ নাটক থেকে চলচ্চিত্র নির্মিত হয় ২০০০ সালে। ‘একাত্তরের যীশু’ চলচ্চিত্রের সংলাপ রচনা করেন ১৯৯৪ সালে।
৬.
নাট্যকার সেলিম আল দীন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পেয়েছেন নানা পুরস্কার ও সম্মাননা। সেসবের মধ্যে রয়েছে: বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৮৪; ঋষিজ কর্তৃক প্রদত্ত সংবর্ধনা, ১৯৮৫; কথক সাহিত্য পুরস্কার, ১৩৯০ বঙ্গাব্দ; একুশে পদক, ২০০৭; জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ১৯৯৩; অন্য থিয়েটার (কলকাতা কর্তৃক প্রদত্ত সংবর্ধনা); নান্দিকার পুরস্কার (আকাদেমি মঞ্চ কলকাতা) ১৯৯৪; শ্রেষ্ঠ টেলিভিশন নাট্যকার, ১৯৯৪; খালেকদাদ সাহিত্য পুরস্কার; জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (একাত্তরের যীশু, শ্রেষ্ঠ সংলাপ) ১৯৯৪; মুনীর চৌধুরী সম্মাননা, ২০০৫।
৭.
বাংলা নাট্যের অনন্য স্রষ্টা সেলিম আল দীনের মৃত্যু তো আসলে প্রয়াণ নয়, এটা আরেক উজ্জীবনের নাম। তাঁর চলে যাওয়ার ভেতর দিয়ে তাঁর অস্তিত্বকেই বরং আমরা বারবার টের পাবো তাঁর রচনাবলির মধ্য দিয়ে। তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে যে দায়িত্ব তিনি পরবর্তী প্রজন্মের কাছে অর্পণ করে গেছেন, তা তাদেরকে অবিরাম প্রেরণা দিয়ে যাবে। স্বদেশ, স্বকাল, ইতিহাস ও সময়ের নিরন্তর প্রবাহের ভেতর তার অন্বেষণকে শিল্প ও সাহিত্যের দুনিয়ার মানুষেরা নিরন্তর শ্রদ্ধা করে চলেছে। আচার্য সেলিম আল দীনের স্মৃতির প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।
আবদুল্লাহ আল মোহন: লেখক, গবেষক ও সহকারী অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ভাসানটেক সরকারি কলেজ, ঢাকা