সরেজমিনে বইমেলা: করাতের শাঁ শাঁ, হাতুড়ির ঠুকঠাক
অমর একুশে বইমেলার আর বাকি দুই দিন। মেলার স্টল তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। মেলা চত্বরে ঢুকতেই ভেসে আসছে করাতের শাঁ শাঁ এবং হাতুড়ির ঠুকঠাক শব্দ।
সরেজমিনে সোমবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে দেখা গেছে, মেলার অধিকাংশ স্টল-প্যাভিলিয়নের কাঠামো দৃশ্যমান। কারিগররা কেউবা পেরেকে হাতুড়ি ঠুকছেন, কেউবা করাত দিয়ে কাঠ-বোর্ড কাটছেন। আবার কেউ করছেন সাজসজ্জা ও চুনকামের কাজ। হ্যালো-হ্যালো ধ্বনিতে লাউডস্পিকার পরীক্ষা করতেও শোনা যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সরব উপস্থিতিও চোখে পড়েছে।
দেশ পাবলিকেশনের স্টল তৈরিতে কাজ করছেন সঞ্চয় বিশ্বাস। তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমি ছয় দিন ধরে এখানে কাজ করছি। আমাদের হাতে আরও দুই দিন সময় আছে। মোটামুটি সবারই কাজ শেষ পর্যায়ে।’
এদিকে চাহিদা থাকায় মেলা চত্বরেই বেশ কিছু ভ্রাম্যমাণ ইলেকট্রিক, কাঠ-বোর্ড এবং হার্ডওয়্যারের দোকানও বসেছে। বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে বলে এসব ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা জানিয়েছেন। মেলা চত্বরেই এসব দোকান থাকায় স্টল নির্মাণে বাড়তি গতিও এসেছে।
এমনই একটি দোকান ইউনিক হার্ডওয়্যার। এ দোকানের স্বত্বাধিকারী মেহেদী হাসান নাঈম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমি প্রথমবার দোকান দিয়েছি। সবকিছু ঠিকঠাকই আছে। যথেষ্ট নিরাপত্তা আছে। সাত দিন হলো এখানে দোকান দিয়েছে। আরও দুই দিন থাকবো। আলহামদুলিল্লাহ, বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে।’
নালন্দা প্যাভিলিয়নের ম্যানেজার মোহাম্মদ জাকির হোসেন ঢাকা টাইমসকে জানান, ‘আমরা এবার একদিন সময় কম পেয়েছি। তবে মিস্ত্রি সংখ্যা বাড়িয়ে নিয়েছি বলে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। অনেকেই বলছেন, বাণিজ্য মেলা আছে একই সময়ে। তবে, এতে বইমেলার কোনো অসুবিধা হবে না। যারা বইয়ের পাঠক, তারা বইমেলাতে আসবে। আমি মনে করি, প্রতি বছর যেমন জমে, এ বছরও ঠিক একই রকম জমবে।’
প্রতিবছর ভাষা শহীদদের স্মরণে আয়োজিত হয় অমর একুশে বইমেলা। ২০২৪ সালের বইমেলার প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘পড়ো বন্ধু গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।
বাংলা একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, ১ ফেব্রুয়ারি বিকাল তিনটায় মাসব্যাপী বইমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
(ঢাকাটাইমস/২৯জানুয়ারি/এসকে/এসএম)
মন্তব্য করুন