ইজতেমা ময়দান প্রস্তুত: শুক্রবার ফজর থেকে শুরু প্রথম পর্ব

মো. রাজীব হোসেন, টঙ্গী-পূবাইল (গাজীপুর)
  প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:১৭| আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:২২
অ- অ+

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরবর্তী ১৬০ একর বিস্তৃত ময়দান এখন মুসল্লিদের জন্য প্রস্তুত। সামান্য কিছু কাজ রয়েছে যা দু-একদিনের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে ৫৭তম ইজতেমার (জুবায়েরপন্থি) প্রথম পর্ব। প্রতি বছরের মতো এবারও উর্দু ভাষায় বয়ান করা হবে। বিভিন্ন দেশ থেকে আশা মুসল্লিদের সুবিধার্থে বয়ানের সঙ্গে বাংলা ও আরবি ভাষার তর্জমা করা হবে। প্রতিবারের মতো এবারও যোগ দেবেন দেশবিদেশের লাখ লাখ মুসল্লি। ইজতেমাকে সফল করতে আয়োজকদের পাশাপাশি কাজ করছে বিভিন্ন সংস্থা।

ভাসমান সেতু নির্মাণ: ইজতেমা উপলক্ষে তুরাগ নদীর ওপর ভাসমান সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি সেতু নির্মাণ করেছে সেনাবাহিনী এবং একটি বিআইডব্লিউটিএ। এসব ব্রিজ দিয়ে সাময়িকভাবে মুসল্লিরা এপার-ওপার যাতায়াত করতে পারবেন।

শামিয়ানা আনতে হবে মুসল্লিদের: প্যান্ডেল নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। অথচ ময়দানে বেশিরভাগ শামিয়ানা নেই। শুধু বাঁশ দিয়ে কাঠামো তৈরি করে রাখা হয়েছে। এজন্য দেশের বিভিন্ন জেলার মুসল্লিদের শামিয়ানা আনতে বলা হয়েছে। নিজ দায়িত্বে তা টানাতে হবে। চটের সংকটের কারণে ইজতেমার ইতিহাসে এবারই প্রথম এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিদেশি মুসল্লিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা: বিদেশি মেহমানদের উন্নতমানের অজু, গোসল ও বাথরুমের পৃথক ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের রান্নার জন্য সরবরাহ করা হবে প্রাকৃতিক গ্যাস। বিশেষত বিদেশি মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য তাদের পুরো ছাউনিটি আলাদাভাবে তৈরি করা হয়।

চিকিৎসার ব্যবস্থা: গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. খায়রুজ্জামান জানান, ইজতেমা ময়দান ও শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার হাসপাতালে মুসল্লিদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। রোগী পরিবহনের জন্য ১৫টি অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন থাকবে।

বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ: গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ১২টি নলকূপে ১২ কিলোমিটার পাইপ লাইনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হবে।

প্রস্তুত সিটি কর্পোরেশন: সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ২৫টি ফগার মেশিনে মশক নিধনে কাজ করা হবে। ময়দানে নিয়মিত পানি ছিটানো, মশার ওষুধ দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেখানে সার্বক্ষণিক একাধিক টিম কাজ করবে।

৬ হাজার পুলিশ মোতায়েন: গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমার ময়দান ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দুই পর্বের প্রায় ৬ হাজার পুলিশ মোতায়ন থাকবে। এছাড়া র‌্যাব ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে, এবার ফুটপাত ও ইজতেমা ময়দান সংলগ্ন এলাকায় হকারদের দোকান পসরা বসাতে দেওয়া হবে না।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল ফাতেহ মো. শফিকুল ইসলাম জানান, দুই পর্বের ইজতেমা সফল করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে।

উল্লেখ্য, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি তবলিগ জামাতের বার্ষিক মহাসম্মেলনের প্রথম পর্ব শুরু হবে। এরপর ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।

(ঢাকা টাইমস/৩০জানুয়ারি/আরএইচ/বিবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
দুবাইয়ে বাংলাদেশের ৫৪তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের জমকালো আয়োজন
মোবাইল অপারেটরদের রোমিং বিল টাকায় গ্রহণের অনুমতি বাংলাদেশ ব্যাংকের
বদিসহ সেন্টমার্টিনের ১৯ হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
অবৈধ অভিবাসন রোধ ও পুলিশের সামর্থ্য বাড়াতে সহযোগিতা করবে ইতালি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা