মিয়ানমারে সামরিক শাসনের ৩ বছর, ভবিষ্যৎ কী?

​​​​​​​শাহনূর শাহীন, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৮| আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৭
অ- অ+
  • বিভিন্ন রাজ্যে বিদ্রোহীদের ৩০টির বেশি শহর দখল, পাঁচ শতাধিক সেনাচৌকি দখল
  • রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কে বিপর্যস্ত সামরিক জান্তা
  • বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মতপার্থক্য মিয়ানমারে ভাঙনের সুর
  • রোহিঙ্গা অনুপ্রেবেশের শঙ্কায় বাংলাদেশ, সীমান্তে উদ্বেগ

সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ২০২১ সালে ফেব্রুয়ারির শুরুতে মিয়ানমারের নির্বাচিত অং সান সুচি নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকার হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক জান্তা। অভ্যুত্থানের পর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন দেশটির সেনা প্রধান জেনারেল ইউ মিন্ট সোয়ে। বৃহস্পতিবার (১ ফ্রেবুয়ারি) সামরিক সরকারের ক্ষমতা দখলের তিন বছর পূর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার আরও ছয় মাসের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন মিন্ট সোয়ে। সেইসঙ্গে বিরোধী দলকে দমন করার জন্য যা যা করা দরকার তা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন সামরিক সরকারের এই শীর্ষ জেনারেল।

পাশাপাশি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় নির্বাচনের আশ্বাস দিয়ে দেশটির নির্বাচন কমিশনের প্রধান থেইন সোকে বরখাস্ত করে কো কোকে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কো কো পূর্ববর্তী সামরিক শাসনামলে বিচারক ও অ্যাডভোকেট-জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ২০১০ সালের সাধারণ নির্বাচন পরিচালনার জন্য ২০০৮ সালের সেনাবাহিনীর খসড়া সংবিধানের অধীনে গঠিত প্রতিষ্ঠাকালীন নির্বাচনি সংস্থার চেয়ারম্যান ছিলেন।

তিন বছরের সামরিক শাসনে মিন্ট সোয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারলেও সামরিক, রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে চরম ব্যর্থ হয়েছেন বলে থাইল্যান্ডে নির্বাসিত স্বাধীন বার্মিজ সংবাদ সংস্থা ইরাবতীর বিভিন্ন প্রতিবেদন ও বিশ্লেষণে উঠে এসেছে।

বার্মিজ বিশ্লেষক মং কাভি বলছেন, অভ্যুত্থানের তিন বছর পর, এটা স্পষ্ট যে তিনি (মিন্ট সোয়ে) রাজনীতি ও অর্থনীতি থেকে সামরিক বিষয় এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক পর্যন্ত সবকিছুতেই ব্যর্থ হয়েছেন।

দেশটির অভ্যন্তরীণ বোঝার ভার বহনে মিয়ানমারের সঙ্গে ভৌগলিক সীমান্ত থাকা দেশগুলোর মধ্যে সব থেকে বেশি ভুগছে বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে রাখাইনে শুরু হওয়া জাতিগত নিধন থেকে বাঁচতে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। এর আগের বছরেও প্রায় ৬৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সেসময় মানবিক কারণে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিলেও বর্তমানে তা বাংলাদেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া প্রতি বছর ৩৫ হাজার রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম এই জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়িয়ে তুলছে হু হু করে। প্রতিনিয়ত স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ, মাদক কারবার ও অস্ত্র চোরাচালানের মতো গুরুতর অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। এমন অবস্থায় স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা চরম হুমকির মুখে পড়েছে। বর্তমানে প্রায় দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের জন্য একটি ভারি বোঝা হয়ে উঠছে। এছাড়া রাখাইনের সঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ গোলযোগের বিরূপ প্রভাব পড়ছে। গত কয়েকদিনে মিয়ানমারে দু’পক্ষের ছোড়া একাধিক গুলি ও মর্টার শেল এসে পড়েছে বাংলাদেশের সীমান্তে। এতে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী বাংলাদেশি বাসিন্দারা আতঙ্কে পড়ছেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের কারণে বাংলাদেশ ভারাক্রান্ত। তাদের কারণে নানা ধরনের সমস্যা হচ্ছে। সেখানেও উত্তেজনা চলছে। তবে আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।

অভ্যন্তরীণ দাঙ্গা, জাতিগত নিধন ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর তৎপরতায় মিয়ানমারে অস্থিরতা লেগে আছে ১৯৪৮ সালের স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই। ২০১৫ সালের পর দ্বিতীয় দফায় ২০২০ সালের নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে অং সান সুচি। কিন্তু বছর না ঘুরতেই ২০২১ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। ক্ষমতা দখলের পর জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে সেসময় জেনারেল ইউ মিন্ট সোয়ে বলেছিলেন, তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল একটি নির্বাচন করা, দেশজুড়ে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং আইনশৃঙ্খলা নিরাপদ করা। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সংকট মোকাবিলায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মিন্ট সোয়ে। কিন্তু গত তিন বছরে তিনি মিয়ানমারকে প্রকৃত অর্থে বিভক্তির দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন। সর্বক্ষেত্রে মিন্ট সোয়ে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মত মং কাভির।

বর্তমানে দেশটিতে অস্থিরতার মাঝেই ভাঙনের সুর বেজে উঠছে নানা দিক থেকে। বিভিন্ন রাজ্যে লড়াইরত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো গেল বছর থেকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে নামলেও আগে থেকে বেশ কিছু বিষয়ে মত পার্থক্য রয়েছে বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে। সর্বশেষ সামরিক জান্তা সরকার হটিয়ে একটি ফেডারেশন সরকারের অধীনে একক মিয়ানমার রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে লড়াই চালিয়ে গেলেও পারস্পরিক মত পার্থক ও পরবর্তী কর্তৃত্ব নিয়ে যে গোষ্ঠীগুলো বিচ্ছিন্ন হবে না এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

মিয়ানমারের বামার তরুণদের সশস্ত্র দল পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) ও জাতিগত সশস্ত্র সংগঠনগুলোর জোট এথনিক আর্মড অর্গানাইজেশন বা এথনিক রেজিস্ট্যান্স ফোর্স (ইএও) পরস্পর সহযোগিতামূলক সম্পর্কে পৌঁছেছে সাম্প্রতিক সময়ে। পিডিএফকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ইএও। বিনিময়ে দেশটির প্রায় কেন্দ্রস্থলে থাকা বামার তরুণদের পিডিএফ— প্রান্তিক জাতিগোষ্ঠীর সশস্ত্র জোট ইএওকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যে, জান্তাকে হারাতে পারলে প্রান্তিক রাজ্যগুলোকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন ও উভয় পক্ষ মিলে কেন্দ্রে ফেডারেশন সরকার গঠন করবে। আপাততদৃষ্টে ঐকবদ্ধ মিয়ানমারের লক্ষ্যে স্থির থাকলেও চূড়ান্ত লড়াই শেষে তা অক্ষুণ্ন থাকবে কি না সেটা নিয়ে যথেষ্ঠ সংশয় রয়েছে।

আংশিক সেনা নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনে সুচির বিজয়ের পর নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে অভ্যুত্থান ঘটানো মিন্ট সোয়ে সারাদেশে জনসংখ্যা জরিপ করে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে জরিপ করা তো দূরে থাক দেশটির ভৌগলিক অখণ্ডতা রক্ষাই চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় অঞ্চল থেকে শুরু করে প্রায় সব রাজ্যেই বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়েছে। আপাতত জাতিগত আঞ্চলিক বিদ্রোহী গ্রুপগুলো সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হলেও চূড়ান্ত পরিণতি-পরবর্তী সময়ে তারা ঐক্যবদ্ধ থাকবে কি না সেটা নিয়ে সংশয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের। একই সঙ্গে সামরিক জান্তা ক্ষমতা ধরে রাখতে পারলেও এবং সেটা যদি দীর্ঘ মেয়াদে হয় সেক্ষেত্রে আরও বেশি শঙ্কা তৈরি হবে একাধিক রাজ্য মিয়ানমার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার।

অন্যদিকে সামরিক জান্তা বাহিনীর মিত্র ও একমাত্র পরীক্ষিত বন্ধু দেশ চীনা কমিউনিস্ট সরকার মিন্ট সোয়েকে সমর্থন দিলেও বিভিন্ন রাজ্যে বিদ্রোহী গ্রুপগুলোকে অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা দিয়ে আসছে। এমনকি সম্প্রতি শান ও কাচিন রাজ্যে বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগাযোগও রক্ষা করে চলছে চীন। যাতে এই রাজ্যগুলোতে বিদ্রোহীরা পুরোপুরি ক্ষমতায় চলে আসলেও মিয়ানমারের বিনিয়োগ ও সীমান্তে তাদের কোনো বিরূপ প্রভাব না পড়ে। অন্যদিকে এই দুই রাজ্যের অনেক গুরুত্বপূর্ণ শহর ইতোমধ্যে বিদ্রোহী গ্রুপগুলো নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এমনকি নিজস্ব শাসন ব্যবস্থা চালু করেছে তারা।

অভ্যুত্থানের পর থেকে বিদ্রোহীদের আক্রমণে ৩০টিরও বেশি শহর হারিয়েছে সামরিক জান্তা। রাখাইন, চিন, কাচিন, শান, কায়া, কাইন ও মান্দালয়সহ কেন্দ্রীয় অঞ্চলের একাধিক শহরও সামরিক সরকারের নিয়ন্ত্রণ ক্ষুণ্ন করেছে বিভিন্ন রাজ্যে লড়াইরত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। ৫০০টিরও বেশি সেনা চৌকি হাতছাড়া হয়েছে মিন্ট সোয়ে বাহিনীর। এমনকি আটজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলসহ সহস্রাধিক সৈনিক আত্মসমর্পণ করেছে বিদ্রোহীদের কাছে।

এদিকে টানা যুদ্ধ ও বিদ্রোহের কবলে পড়া মিয়ানমারের অর্থনৈতিক মুক্তি এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। উৎপাদনের জন্য পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে না ও সশস্ত্র সংঘর্ষের কারণে কৃষি উৎপাদন কমে গেছে। এছাড়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং বিদেশী বিনিয়োগ প্রত্যাহারের কারণে অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং বার্মিজ মুদ্রা কিয়াটের অবমূল্যায়নের কারণে খাদ্য, ওষুধ এবং জ্বালানির মতো অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে। এমন অবস্থায় বুধবার নতুন করে জরুরি অবস্থা বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়ার পরপরই আরও কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, বার্মার সামরিক শাসনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত দুটি সংস্থা এবং চার ব্যক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, শ্বে বায়াইন ফিউ গ্রুপ অফ কোম্পানিজ এবং শিপিং ফার্ম মায়ানমা ফাইভ স্টার লাইন কোম্পানি লিমিটেড।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, ‘আমরা সেনাবাহিনীর পথ পরিবর্তন করার এবং ভবিষ্যতের গণতান্ত্রিক বার্মার দিকে অর্থপূর্ণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক আলোচনার জন্য কৌশল অবলম্বনের জন্য আমাদের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছি।’

বিপর্যস্ত সামরিক জান্তা সরকার এমনতেই বিশ্বব্যাপী বন্ধুহীন। আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্র হওয়া সত্ত্বেও সম্প্রতি আসিয়ান সম্মেলনে অংশ নিতে পারেনি অন্য দেশগুলোর আপত্তির কারণে। অন্যদিকে মিত্রদেশ চীন সরকার মিন্ট সোয়ের বেইজিং সফরের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে, যদিও তারা সামরিক সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে এবং একসঙ্গে কাজ করার কথা বলছে। তবে সম্প্রতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে চীনের যোগাযোগ ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে, যা দেশটির ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ণয়ে ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের। এমনকি রাখাইনের আরাকান আর্মিকেও সহযোগিতা করে থাকে চীন সরকার। চীনাদের আশঙ্কা এমন যে, রাখাইন মিয়ানমার থেকে আলাদা হয়ে গেলে বা আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে চলে গেলেও যেন চীনের হাতছাড়া না হয়, সেখানে তাদের বিনিয়োগ যেন হুমকিতে না পড়ে। রাখাইন অঞ্চলের বঙ্গোপসাগর উপকূলে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) তৈরিসহ নানা প্রকল্পে চীনের বিনিয়োগ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এ অঞ্চলের শান্তি স্থিতিশীলতার সঙ্গে বাংলাদেশের টেকনাফ ও বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তের নিরাপত্তাও সম্পর্কিত। এছাড়া রাখাইন থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবর্তনও এই রাজ্যের স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভর।

(ঢাকাটাইমস/০১ফেব্রুয়ারি/এসআইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, ৬৮.৪৫ শতাংশ পাস
নদী ভাঙনে ধসে পড়ল ফেনীর সোনাগাজীর ৩ সড়ক
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি মামুন 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা