প্রধানমন্ত্রী বিচক্ষণতার সঙ্গে মিয়ানমার সংকট ও রোহিঙ্গা ইস্যু মোকাবিলা করছেন: নানক
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক ধৈর্য্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে মিয়ানমার সংকট ও রোহিঙ্গা ইস্যু মোকাবিলা করছেন। এখন মিয়ানমারে যে পরিস্থিতি চলছে তা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সে বিষয়টিকে নিয়ে বাংলাদেশের ভিতরে মানসিক চাপ অথবা একটি পরিস্থিতি তৈরি করার কোনো কারণ থাকতে পারে না।”
বৃহস্পতিবার মোহম্মদপুরের আজিজ মহল্লায় শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, “আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দেশপ্রেম আসেনি। দেশপ্রেম না থাকার কারণে দেশের জাতীয় স্বার্থে যে দায়িত্ব পালন করা উচিত সে দায়িত্ব তারা পালন করে না। বিএনপি এবং কিছু রাজনৈতিক দলের একটি সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা রয়েছে, মতলব রয়েছে। এই মতলববাজরা বিরোধীতার জন্য বিরোধীতা করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক ধৈর্য্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে মিয়ানমার সংকট ও রোহিঙ্গা ইস্যু মোকাবিলা করছেন।”
বন্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, “এখন মিয়ানমারে যে পরিস্থিতি চলছে তা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সে বিষয়টিকে নিয়ে দেশের ভিতরে মানসিক চাপ অথবা একটি পরিস্থিতি তৈরি করার কোনো কারণ থাকতে পারে না। সেই কারণে আমরা বলতে পারি, আমাদের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দায়িত্ব পালন করছে। তারা তাদের সঠিক দায়িত্ব পালন করছেন, তারা সতর্ক রয়েছেন। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না। মাঝে মাঝে যে দু-চারটি গোলা এসে পড়ছে এবং আমাদের যে হতাহত করছে এর প্রতিবাদ করার আন্তর্জাতিক নিয়ম আছে। সরকার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়েছে ও সতর্ক করেছে। এরপরও যদি কোনো পরিস্থতি তৈরি হয় তবে জাতিসংঘসহ আন্তজার্তিক সংস্থা রয়েছে। আমারা তাদের কাছে যাব।”
তিনি বলেন, “মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগরের সর্বস্তরের জনগণ অনেক ভালোবাসা ও বিশ্বাস নিয়ে আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছেন। আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আপনাদের উন্নয়নের দায়িত্ব আমার। মোহাম্মদপুর এলাকাকে তিলোত্তমা শহরে পরিণত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাব।”
শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বুজলুর রহমানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/৮ফেব্রুয়ারি/জেএ/এফএ)