রিজওয়ানকে সাড়ে ১৭ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করল আইসিসি

২০২১ সালের আবুধাবি টি-টেন লিগে দুর্নীতির চেষ্টার কারণে বাংলাদেশের সাবেক অলরাউন্ডার নাসির হোসেনসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছিল আইসিসি। সেই ঘটনায় ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন নাসির হোসেন। একই ঘটনায় জড়িত আরেক ক্রিকেটার রিজওয়ান জাভেদকে ১৭ বছর ৬ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়স্ত্রক সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় আইসিসি। রিজওয়ান সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতিবিরোধী পাঁচটি ধারা ভেঙেছেন তিনি।
রিজওয়ানের বিরুদ্ধে গত বছরের সেপ্টেম্বরে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। অভিযোগ গঠনের ১৪ দিনের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছিল যুক্তরাজ্যভিত্তিক ক্লাবে খেলা এই ক্রিকেটারকে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিজওয়ান জবাব না দেয়ায় তার বিরুদ্ধে যেসব অপরাধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল, সেগুলো তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন বলে ধরে নেয়া হয়েছে।
এ অপরাধে শাস্তি দিয়েছেন আইসিসির কোড অব কন্ডাক্ট কমিটির প্রধান মাইকেল যে বেলোফ। রিজওয়ানের এই দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞা শুরু ২০২৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে।
আইসিসির নৈতিকতাবিষয়ক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক অ্যালেক্স মার্শাল বলেছেন, ‘পেশাদার ক্রিকেট ম্যাচে বারবার এবং বড় আকারে দুর্নীতি করার চেষ্টার কারণে রিজওয়ান জাভেদকে দীর্ঘমেয়াদি নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তিনি অনুতাপ বা আমাদের খেলা রক্ষায় যে নিয়ম আছে, সেগুলোর প্রতি কোনো সম্মান দেখাননি।’
রিজওয়ান যেসব ধারা ভেঙেছেন :
২.১.১- ২০২১ সালের আবুধাবি টি-টেন লিগে ম্যাচ বা ম্যাচের কোনো দিক গড়াপেটার উদ্যোগ বা আয়োজনের অংশ থাকা (তিনটি আলাদা ক্ষেত্রে)।
২.১.৩- দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত হতে অন্য এক খেলোয়াড়কে পারিতোষিক দেওয়ার প্রস্তাব।
২.১.৪- ২.১ নম্বর ধারা ভাঙতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো অংশগ্রহণকারীকে অনুরোধ, প্ররোচনা, প্রলুব্ধ, নির্দেশনা, পটানো বা উৎসাহ দেওয়া কিংবা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবস্থা করে দেওয়া।
২.৪.৪- ধারার অধীনে দুর্নীতিমূলক আচরণ বলে বিবেচিত কোনো কাজে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পাওয়ার বিস্তারিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানাতে ব্যর্থ হওয়া।
২.৪.৬- ন্যায্য কোনো কারণ ছাড়াই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে তদন্ত চালিয়ে যেতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হওয়া বা অস্বীকার করা।
(ঢাকাটাইমস/১৫ ফেব্রুয়ারি/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন