১৫ বছরেও মাটি ভরাট হয়নি, ঝুঁকিতে বিদ্যালয় ভবন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় শাহজাদাপুর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি ভবনের পূর্বপাশের ভবনের সামনের অংশ পুকুরে ডুবে গেছে। এ অংশে গাইডওয়াল নির্মাণসহ পুকুরে বিলীন হওয়া বিদ্যালয়ের ৫ শতক জায়গা মাটি ভরাট করার মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী করার দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু এ দাবি জানানোর পরও কোনো ফল পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান ও এসএমসির অন্যান্য সদস্যগণ।
এসএমসির সভাপতি হাফিজ জানান, ২০০৫-২০০৬ অর্থ বছরে এলজিইডির বাস্তবায়নে নির্মিত পূর্বপাশের ভবনের সামনের অংশের জায়গার মাটি সরে পুকুরে বিলীন হয়েছে ১৫/১৬ বছর আগে। মাটি ভরাটের কোনো উদ্যোগ নেই আজ অবধি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পূর্বপাশের ভবনটির সামনের অংশের মাটি পুকুরে বিলীন হয়ে গেছে, ভবনের নিচের দিকের মাটি পুকুরে সরে গেছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ভবনটি রক্ষার জন্য জরুরি ভিত্তিতে গাইডওয়াল নির্মাণের দাবি জানিয়ে ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল হক খাদেম বলেন, জরুরি ভিত্তিতে গাইডওয়াল নির্মাণ না হলে ভবনটি পুকুরে ধসে পড়তে পারে।
প্রধান শিক্ষক ফারহানা জামান জানিয়েছেন, ভৌগলিক ভাবে অবহেলিত জনগোষ্ঠীর শিক্ষার উন্নয়নে ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ের বর্তমানে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর নিরাপত্তার স্বার্থে ভবনটির সুরক্ষা জরুরি।
তিনি আরো জানান, পুকুরের পানিতে ডুবন্ত অংশের মাটি পুকুরে বিলীন হয়ে ভবনটির নিচের অংশটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
শাহাজাদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আছমা বেগম পুকুরে বিলীন হওয়া বিদ্যালয়ের জায়গায় মাটি ভরাটের মাধ্যমে ভবনটি রক্ষার দাবি জানিয়েছেন।
জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নওশাদ মাহমুদ বলেন, মাটি ভরাটের এত টাকা বরাদ্দ কোথায় পাব? বাউন্ডারি দেয়াল করা যায় কিনা দেখি।
উল্লেখ্য: গত বছরের ২ আগস্ট এ বিষয়ে ‘সরাইলে বিদ্যালয়ের জায়গা পুকুরে বিলীন, ভবন রক্ষায় গাইডওয়াল নির্মাণের দাবি’ শিরোনামে ঢাকা টাইমসে সংবাদ প্রকাশ হলেও কোনো কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
(ঢাকাটাইমস/২০ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএম)

মন্তব্য করুন