থাইরয়েড ক্যানসার হয়েছে কি না জানা যাবে যন্ত্রপাতির পরীক্ষা ছাড়াই

ফিচার ও স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৩

গ্রন্থির কলা থেকে বিকশিত হয় থাইরয়েড ক্যানসার। এটি এমন একটি রোগ যার ফলে কোষের সংখ্যা বেড়ে যায় এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রধান লক্ষণ হলো ঘাড়ের দিকে ফোলাভাব থাকা। শরীরে নানারকম যন্ত্রপাতি প্রবেশ করিয়ে নানা পরীক্ষা করে তবেই জানা যায় আপনি এই রোগে আক্রান্ত কি না।

তবে এবার শরীরে কোনোরকম যন্ত্রপাতি প্রবেশ না করিয়েই পরীক্ষা করা যাবে থাইরয়েড ক্যানসার। এই পরীক্ষায় ক্যানসার হয়েছে কি না তা যেমন বোঝা যাবে, তেমনই ক্যানসার কতটা মারাত্মক আকার নিয়েছে তাও বোঝা সম্ভব। শুধু তাই নয়, ক্যানসার হতে পারে কি না, অর্থাৎ ক্যানসারের আগের ধাপও বোঝা যাবে।

এমন পদ্ধতি আবিষ্কার করার দাবি করেছে ভারতের কলকাতার ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ- আইপিজিএমইআরের এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগ। এই পদ্ধতির ফলে থাইরয়েড টিউমার ম্যালিগন্যান্ট না বেনাইন তা বোঝার কাজ সহজ হতে চলেছে।

ইউরোপিয়ান জার্নাল অব এন্ডোক্রিনোলজিতে সম্প্রতি এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। আইপিজিএমইআর-এর এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের এই গবেষণাপত্রের নাম ‘ডিটেকশন অব ড্রাইভার মিউটেশন ইন প্লাজমা সেল ফ্রি নিউক্লিক অ্যাসিডস ইন ডিফারেনসিয়েটেড থাইরয়ৈড নিউরোপ্লাজম’। এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা করার জন্য লিকুইড বায়োপসির সাহায্য নেন গবেষকরা।

এর মাধ্যমে রক্তের প্লাজমা থেকে কোষমুক্ত ডিএনএগুলোকে আলাদা করা হয়। এরপর ডিএনএ-এর ঘনত্ব দেখে পরীক্ষা করা হয়, টিউমার কোষটি ম্যালিগন্যান্ট না বেনাইন। এর পাশাপাশি কোষটি যদি ম্যালিগন্যান্ট হয়, তাহলে‌ রোগটি প্রাথমিক স্তরে রয়েছে না গুরুতর স্তরে পৌঁছেছে তাও বোঝা সম্ভব হয়। এখনো পর্যন্ত এভাবে ক্যানসার পরীক্ষার সুবিধা শুধু ফুসফুস ক্যানসারেই রয়েছে।

থাইরয়েড ক্যানসার হয়েছে কি না, তা বুঝতে গেলে বর্তমানে থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট, ইউএসজি ও ইউএসজি-পরিচালিত ফাইন নিডল অ্যাসপিরেশন সাইটোলজি (এফএনএসি পরীক্ষা) মোট তিনটি পরীক্ষার সাহায্য নিতে হয়। তবে এই তিনটি পরীক্ষার পরেও ক্যানসারের চরিত্র সম্পর্কে সবটা জানা সম্ভব হয় না। কখনো কখনো অনির্দিষ্ট ফলাফল আসে এই পরীক্ষায়‌।

এমন অবস্থায় ঠিকভাবে ক্যানসার নির্ণয় করতে পশ্চিমী দেশগুলোতে একটি বিশেষ জেনেটিক পরীক্ষা করার রীতি রয়েছে। এই পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত একটি কিটের দাম পড়ে দেড় লাখ টাকা।

তবে আইপিজিএমইআরের বিশেষ কিটের সাহায্যে থাইরয়েড ক্যানসার সহজেই নির্ণয় করা যাবে বলে দাবি করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, কোনো টিউমার থেকে গেছে কি না, তাও এর মাধ্যমে বোঝা সম্ভব। টিউমার থেকে গেলে তা থেকে পরবর্তীতে ক্যানসার হতে পারে কি না, সেটিও বলে দেবে এই বিশেষ ধরনের পরীক্ষা পদ্ধতি।

(ঢাকাটাইমস/২১ফেব্রুয়ারি/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :