কেন্দুয়ায় মরিচের বাম্পার ফলন, দাম নিয়ে হতাশা 

আশরাফ গোলাপ, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা)
  প্রকাশিত : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:০৭
অ- অ+

নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় এবার মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় হতাশ উপজেলার মরিচ চাষিরা। গত বছর লাভের মুখ দেখলেও এ বছর লোকসান গুণতে হবে বলে আশঙ্কা তাদের। উপজেলার মোজাফরপুর, চিরাং, রোয়াইলবাড়ি ও পাইকুড়া ইউনিয়নে মরিচের চাষ বেশি হয়। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মরিচের ফলন ভাল হয়েছে। তবে বাজার মূল্য কম থাকায় উৎপাদন ব্যয় ওঠা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় মোট ২২০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে মরিচ চাষাবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ছয় হাজার মেট্রিকটন। এক্ষেত্রে উপজেলা কৃষি অফিস মরিচ চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছেন।

এ উপজেলায় এবার বিজলী, রোপা মরিচ, বোনা মরিচ, সিন্দি মরিচের চাষ বেশি হয়েছে। মরিচ চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার থেকে ৫৫ হাজার টাকা। বর্তমানে প্রতিমণ কাঁচা মরিচ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর প্রতিমণ মরিচ বিক্রি হয়েছে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকায়। এবার মরিচের দাম গত বছরের চেয়ে অনেকটা নিম্নমুখী। তাই এই লোকসান গুণতে হচ্ছে চাষিদের।

সরেজমিনে উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের জালিয়ার হাওড়ে গিয়ে কথা হয় মরিচ চাষি রেনু মিয়া ও খোকন মিয়ার সাথে। তিনি জানান, এবার এক বিঘা জমিতে বিজলী মরিচ, বোনা মরিচ ও রোপা মরিচের চাষ করেছি। এতে আমাদের প্রায় লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে। মরিচ খেত থেকে প্রথম দফায় ৪ মণ, দ্বিতীয় দফায় ৬ মণ ও তৃতীয় দফায় ১০ মণ মরিচ তুলেছি। তিনি আরো জানান, শুরুতে এক হাজার থেকে ১২০০ টাকা মণ দরে মরিচ বিক্রি করেছি। বর্তমানে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা মণ দরে মরিচ বিক্রি করতে হচ্ছে। গত বছরের লাভের অঙ্ক হিসাব করে এবার মরিচের চাষ করে লোকসানে পড়েছি।

মোজাফরফুর গ্রামের কৃষক বাবুল মিয়া জানান, গত বছর বিজলী মরিচ চাষ করে পাঁচ হাজার থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। এবার মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু বাজার মূল্যে একেবারেই ধস নেমেছে। যার কারণে এবার মরিচ চাষে লাভ হবে না। খরচ তোলাই কঠিন হয়ে পড়বে। কৃষক আবার মরিচ চাষের প্রতি আগ্রহ হারাতে পারে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন সুলতানার সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা মরিচ, শাকসবজি ও রবিশস্যের চাষের জন্য কৃষকদের যথারীতি উৎসাহ প্রদান করে আসছি। তবে পাইকারদের কাছে মরিচ বিক্রি না করে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে বিক্রি করার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি আরো জানান, অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যায় এবার মরিচের আবাদে কোনো প্রকার রোগ বালাই আক্রমণ নেই। ফলে বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর উপজেলায় ২২০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষাবাদ হয়েছে। যারা আগাম মরিচ চাষ করেছেন তারা লাভবান হয়েছেন বলেও জানান তিনি।

(ঢাকা টাইমস/২৪ফেব্রুয়ারি/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় মা ও ৬ মাসের শিশুসহ ১১ জন নিহত
'সীমান্ত গৌরবে' বিজিবি মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা
ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে, এমনই বিশ্বাস রাখতে চাই: মির্জা আব্বাস 
স্বাধীনতা দিবসে ঘরে বসেই দেখুন মুক্তিযুদ্ধের সাড়া জাগানো এই সিনেমাগুলো
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা