নির্দেশনা অমান্য করে মহেশপুরে চলছে ক্লিনিক, প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন করে দেওয়া ১০টি নির্দেশনার একটিও মানছেন না ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ৩১টি ক্লিনিক, প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ৩১টির মধ্যে বৈধ লাইসেন্স রয়েছে মাত্র ৫টির। প্রশাসনের গাফিলতির সুযোগ নিয়ে এসব ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলো ব্যবসা করে চলছে দিনের পর দিন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এ উপজেলার ক্লিনিক ও প্রাইভেট হাসপাতালে কোনো ডিগ্রিধারী চিকিৎসক নেই। এমনকি যেসব চিকিৎসক সিজারিয়ান অপারেশন করেন তাদের বিএমডিসির হালনাগাদ নিবন্ধন নেই। সিজারিয়ান অপারেশন করানো বেশির ভাগ চিকিৎসকই ভুয়া। যার ফলে এ উপজেলায় রোগী মৃত্যুর হারও তুলনামূলক বেশি। এছাড়াও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে বিশেষজ্ঞ টেকনেশিয়ান নেই। অদক্ষ জনবল দিয়ে চলছে এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টার। তাদের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী চিকিৎসা নিয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছেন রোগীরা।
খালিশপুরের মা ক্লিনিকের মালিক জুলফিকার আলী বলেন, এ উপজেলার কোনো ক্লিনিকেই সরকারি নির্দেশনা মানা হয় না। রেজিস্ট্রার্ড কোনো চিকিৎসক নেই। সিজারিয়ান অপারেশন করা সব ডাক্তারই ভুয়া। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী ধরলে মহেশপুরের সব ক্লিনিকই বন্ধ হয়ে যাবে।
জেলা সিজিল সার্জন শুভ্র রানি দেবনাথ বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা হাতে পাওয়ার পর সে মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/২৪ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন