বেলজিয়াম আ. লীগের উদ্যোগে মাতৃভাষা দিবস পালন

ইউরোপ ব্যুরো, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫২
অ- অ+

অমর একুশ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ।

রবিবার স্থানীয় একটি হলে সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি হুমায়ুন মাকসুদ হিমুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী রতনের সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির জন্য এক শোকের ও গৌরবোজ্জ্বল দিন। ১৯৫২ সালের এই দিনে মাতৃভাষা বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতির দাবির মিছিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা পাকিস্তানি শাসকের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল করে এবং মেডিকেল কলেজের সামনে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ নাম না জানা অনেকেই পাকিস্তানি পুলিশের গুলিতে নির্মমভাবে শহীদ হন। তাদের আত্মদানের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সাল থেকে বাংলা ভাষার স্বীকৃতির জন্য গঠিত তমদ্দুন মজলিশ ও সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্ব দেন। পাকিস্থানিদের জেলে অন্তরীণ অবস্থায় এই মিছিল ও ভাষা আন্দোলন সংগঠিত করেন। পাকিস্তানের গণপরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিকের মাতৃভাষা হিসাবে বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসাবে স্বীকৃতির জন্য জোর দাবি জানান। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭১ সালে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী থেকে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।

বক্তাগণ গভীর শ্রদ্ধার সাথে ভাষা আন্দোলনের সমস্ত ভাষা সৈনিক, ১৯৭৫ সালে সপরিবারে নিহত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের লাখ শহীদদের স্মরণ করেন।

বক্তাগণ বলেন, ১৯৯৯ সাল থেকে ভাষা শহীদ দিবস, ২১ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘে ও সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে পালিত হচ্ছে। জাতিসংঘের কাছে দিবসটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘোষণার জন্য ১৯৯৮ সালে কানাডার প্রবাসীদের স্মারক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক রাষ্ট্রীয় প্রচেষ্টায় দিবসটি ইউনেস্কো কর্তৃক আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস হিসাবে স্বীকৃতি পায়। বক্তাগণ বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে স্বীকৃতির জন্য জোর দাবি জানান এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের পরবর্তী প্রজন্মকে মাত্রই মাতৃভাষা বাংলা চর্চার জন্য আহ্বান করেন।

সভায় বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর রেজাউল ইসলাম, কাউন্সেলর জনাব আলমগীর, উপদেষ্টা ড. ফারুক মির্জা, সহসভাপতি নিরঞ্জন রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দাউদ খান সোহেল।

উপস্থিত ছিলেন- প্রচার সম্পাদক আখতারুজ্জামান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইমরান আলী, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক জনাব রুবেল, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হান্নান, আতিক চৌধুরী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পরিচালনায় সমন্বিত কণ্ঠে 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেন মুখছেদ রুবাইয়াত রুবেল, দিলরুবা বেগম মিলি, আয়েশা সরকার, শিশু শিল্পী সুরাইয়া মাহমুদ, আয়েনা সরকার। একুশের সঙ্গীতে ছিল শিশু শিল্পী নাবিলা তাবাচ্ছুম শ্রাবন্তী ও সঙ্গীত পরিচালনা করেন মাহির মাহমুদ।

(ঢাকা টাইমস/২৬ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
রাজনীতিতে অভিভাবক দল হিসেবে আমরা বারবার ধৈর্য ধরেছি: অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া
এনবিআরের আরও ৬ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরখাস্ত
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে শিক্ষা উপদেষ্টার আশ্বাস
তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আরও একজন গ্রেপ্তার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা