মারা গেলেন রাজীব গান্ধী হত্যামামলার আসামি সানথান
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি টি সুথেন্দ্ররাজা ওরফে সানথান মারা গেছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, বুধবার সকালে চেন্নাইয়ের রাজীব গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ৫৬ বছর বয়সি সানথান লিভারের গুরুতর অসুখে ভুগছিলেন।
২০২২-এর ১১ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট রাজীব হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সব আসামিকেই মুক্ত করে দেয়, এর মধ্যে সানথানও মুক্তি পান। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য ছিল, আসামিদের জেল রেকর্ড দেখে এই সিদ্ধান্ত করা হয়েছে।
তার আগে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল, প্রিয়ঙ্কারা সরকার ও আদালতকে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিলেন দোষীদের জেলে পচিয়ে মারার পক্ষপাতী নন তারা। ওই আসামিদের মুক্ত করে দেওয়া হোক। জেলে গিয়ে মূল আসামি নলিনীর প্রতি সমবেদনাও জানিয়ে আসেন প্রিয়ঙ্কা।
কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার শীর্ষ আদালতের রায়ের সঙ্গে সহমত হয়নি। তবে আদালতের নির্দেশ মতো প্রধান আসামি নলিনীসহ ওই মামলায় জেলবন্দি সকলকেই মুক্ত করে দেয়। ব্যতিক্রম সানথানসহ আরও তিন আসামি। তারা আসলে তামিলভাষী শ্রীলঙ্কার জাফনার বাসিন্দা। এলটিটিই জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রাক্তন এই চার সদস্যকে ভারত সরকার জেল থেকে মুক্তি দিলেও ত্রিচি কারাগারের স্পেশাল সেলে আটকে রাখে। কারণ রাজীব হত্যা মামলায় ৩২ বছর পর মুক্তি পেলেও তাদের বিরুদ্ধে ভারতে অনুপ্রবেশের মামলা বহাল ছিল।
তাদের মুক্তির দাবিতে তামিলনাড়ুর বিজেপি বিরোধী সব দল ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো দাবি তুললেও কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত থেকে নড়েনি। সেই সেল থেকে দিন সাতেক আগে সানথান খোলা চিঠিতে জানান, ‘বহু দিন সূর্যের আলো দেখিনি।’
সূত্রের খবর, সেই চিঠির প্রেক্ষিতে তাকে পুরোপুরি মুক্ত করার ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছিল। চেন্নাইয়ের রিজিওন্যাল ফরেন রেজিস্ট্রেশন অফিস সানথানদের শ্রীলঙ্কায় ফেরার অনুমতি দেয়। সেই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই বুধবার সকালে মারা গেলেন তিনি।
(ঢাকাটাইমস/২৮ফেব্রুয়ারি/এমআর)