গ্রিণ কটেজে রেস্তোরাঁর অনুমোদন ছিল না, ৭ সদস্যের কমিটি রাজউকের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০১ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪৬

আগুনে ৪৬ প্রাণহানির ঘটনা যে ভবনে ঘটেছে, বেইলি রোডের সেই গ্রিণ কোজি কটেজে রেস্তোরাঁ পরিচালনার অনুমোদন ছিল না বলে জানিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক।

রাজউক জানিয়েছে, ভবনটির অনুমোদন আটতলার। এরমধ্যে শুধু আটতলায় আবাসিক স্থাপনার অনুমোদন আছে। বাকি তলায় বাণিজ্যিক অনুমোদন থাকলেও রেস্তোরাঁর অনুমোদন ছিল না।

কিন্তু অনুমোদন না থাকলেও ভবনটিতে আটটি রেস্তোরাঁ, একটি জুস বার (ফলের রস বিক্রির দোকান) ও একটি চা-কফি বিক্রির দোকান ছিল। ছিল মুঠোফোন ও ইলেকট্রনিকস সরঞ্জাম এবং পোশাক বিক্রির দোকানও।

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টায় বেইলি রোডের ওই ভবনে আগুন লাগে। এতে ৪৬ জন নিহত হন। ভবন থেকে ৭০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো ১২ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আহতরা শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।

রাজউকের নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) প্রকল্পের পরিচালক আশরাফুল ইসলাম শুক্রবার গণমাধ্যমকে বলেন, ভবনটির এক থেকে সাততলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। তবে তা শুধু অফিসকক্ষ হিসেবে ব্যবহারের জন্য। রেস্তোরাঁ, শোরুম (বিক্রয়কেন্দ্র) বা অন্য কিছু করার জন্য অনুমোদন নেওয়া হয়নি।

এর আগে ফায়ার সার্ভিসও জানিয়েছে ভবনটির অগ্নিনিরাপত্তা ছিল না। ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ভবনটিতে কোনো অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে ভবন কর্তৃপক্ষকে তিনবার চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ভবনের নিচতলায় ‘স্যামসাং’ ও ‘গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার’ নামের দুটি ইলেকট্রনিকস সরঞ্জাম বিক্রির দোকান, ‘শেখলিক’ নামের একটি জুস বার (ফলের রস বিক্রির দোকান) ও ‘চুমুক’ নামের একটি চা-কফি বিক্রির দোকান ছিল। দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের একটি রেস্তোরাঁ, তৃতীয় তলায় ‘ইলিয়ন’ নামের একটি পোশাকের দোকান, চতুর্থ তলায় ‘খানাস’ ও ‘ফুকো’ নামের দুটি রেস্তোরাঁ, পঞ্চম তলায় ‘পিৎজা ইন’ নামের একটি রেস্তোরাঁ, ষষ্ঠ তলায় ‘জেসটি’ ও ‘স্ট্রিট ওভেন’ নামের দুটি রেস্তোরাঁ এবং ছাদের একাংশে ‘অ্যামব্রোসিয়া’ নামের একটি রেস্তোরাঁ ছিল।

তবে সরেজমিনে ভবনের সপ্তম তলায় ‘হাক্কাঢাকা’ নামের আরও একটি রেস্তোরাঁর সাইনবোর্ড দেখা গেছে।

(ঢাকাটাইমস/০১মার্চ/এসআইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :