বেইলি রোডের আগুনের ঘটনায় এখনো পাঁচজন চিকিৎসাধীন

রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১৪ জন ভর্তি ছিলেন। শারীরিক অবস্থা উন্নতি হওয়ায় ১১ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবাসিক মেডিকেল সার্জন মো. তরিকুল ইসলাম।
রবিবার ভর্তি রোগীদের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানাতে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসাধীন রয়েছেন রাজধানীর সূত্রাপুরের কাজী নজরুল ইসলামের ছেলে মো. রাকিব (২৫)। ওই ভবনের তৃতীয় তলায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে (BYSL) সেলস্ অ্যাসোসিয়েট হিসাবে চাকরিরত রাকিবের সহকর্মী মো. হাসান বলেন, প্রতিষ্ঠানটিতে দুই শিফটে কাজ করতে হতো। আমি সকাল শিফটে ছিলাম। তাই আমি রাত ৮টায় বাসায় চলে যাই। রাকিব ছিল দ্বিতীয় শিফটে রাত ১০টা পর্যন্ত। সেখানে আটকা পড়েন রাকিব। পরে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে বের করেন।
কুমিল্লার মুরাদনগরের আবুল বাশারের ছেলে মেহেদী হাসান (৩৫) পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি তার স্ত্রী সুমাইয়া (২৫) কে নিয়ে ওই ভবনে খেতে গিয়েছিলেন। পরে ঘটনার শিকার। আহত তিনজনই বার্ন ইনস্টিটিউটের পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও দুজন। এর মধ্যে জুবায়ের আহামেদ (২৫)। তিনি ওই ভবনের একটি খাবারের হোটেলের কর্মচারী। ফরিদপুরের বোয়ালমারীর ফেলানগর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
আরেকজন হচ্ছেন কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁর কর্মচারী ইকবাল হোসেন (২৩)। তিনি নোয়াখালী জেলার সুবর্নচর উপজেলার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ শে ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৪ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুইজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রয়েছে। তাদের ময়নাতদন্তের সময়ে ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৩মার্চ/আরআর/এসএম)

মন্তব্য করুন