বেইলি রোডের আগুনে রাজউকের ঘাটতি রয়েছে: মো. আশরাফুল ইসলাম

তাওহিদুল ইসলাম, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০৪ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৪

রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রীন কোজি কটেজ ভবনে আগুনের ঘটনায় রাজধানীর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ঘাটতি রয়েছে স্বীকার করে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ভবনটিতে যারা রেস্তোরাঁ ব্যবসার জন্য ট্রেডলাইসেন্স দিয়েছে তাদেরও দায়-দায়িত্ব আছে।

রবিবার রাজউক ভবনে ঢাকা টাইমসের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে তিনি সিটি করপোনেরশনকে ইঙ্গিত করে এ কথা বলেন।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনা মর্মান্তিক। কেউ চায় না সাধারণ মানুষের প্রাণহানি হোক। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ মনে করে এটি একটি মর্মান্তিক এবং দুঃখজনক ঘটনা। তিনি বলেন, ২০১১ সালে রাজউক থেকে একটি বেজমেন্টসহ আবাসিক-কাম বাণিজ্যিক আকারে অনুমোদন ছিল। আবাসিক-কাম বাণিজ্যিকের বহু ক্যাটাগরি আছে। এরমধ্যে বেইলি রোডের এই ভবনটি আবাসিক-কাম অফিস স্পেস অনুমোদন ছিলে। ২০১৩ সালে ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। পরে দেখা যায়, ভবনে অফিস স্পেসের পরিবর্তে ভবনে রেস্তোরাঁগুলো পরিচালনা হচ্ছিল। এই রেস্তোরাঁর কারণেই ভবনের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বেশিরভাগ রেস্তোরাঁয় গ্যাস সিলেন্ডার ব্যবহার করে এবং মজুত করে।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, রাজউক মূলত বিল্ডিং কনস্ট্রাকসন স্টেজে (লেভেলে) কাজ করে। রাজউকের অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী ভবনটি নির্মাণ হচ্ছে কি না। অনুমোদিত নকশার ব্যতয় ঘটিয়েছে কি না। এসব বিষয় দেখে রাজউক। কিন্তু ভবন যখন নির্মাণ হয়ে যায় তখন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) তেমন বেশি নজড়দারি করে না।

ঢাকার শহরে যে ভবনগুলোতে অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটছে, সেই ভবনগুলো যে অকুপেন্সিতে কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমোদন নেওয়া আছে, সেই একই অকুপেন্সি যদি ব্যবহার হতো তাহলে হয়ত দুর্ঘটনা অনেকাংশে হ্রাস পেত।

তিনি আরও বলেন, এই ভবনটি ব্যত্যয় হয়েছিল তা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে এবং ২০১৯ সালে অ্যাপার্টমেন্ট ওনার (মালিক) এ্যাসোসিয়েশনকে পর পর দুইবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশ প্রাপ্তির পরও তারা এই ধরনের কার্যক্রম করছিল। এরপর সেখানে উচ্ছেদ কার্যক্রম ও আর্থিক দণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। তারপর কিছুদিন স্থগিত ছিল কার্যক্রম। এরপর আবার পুনরায় অন্যান্য ব্যত্যয় হয়। এই ভবনের ওনাররা ননজুডিশিয়াল স্টাম্পে অঙ্গিকার নামা দিয়েছিল যে, তারা অবৈধ ব্যবহারগুলো সরিয়ে নিবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা সরায়নি।

এই নগর পরিকল্পনাবিদ বলেন, এই ঘটনায় যেমন ভবন মালিকের দায় দায়িত্ব রয়েছে, তেমনি ভবনের কাজে নিয়জিত প্রকৌশলি ও স্থপতিরও তদারকির দায়িত্ব রয়েছে। রাজউকের দায়িত্ব রয়েছে, এখানে ব্যবসা করার জন্য যারা ট্রেডলাইসেন্স দিয়েছে তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে।

রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘কাচ্চি ভাই’ যে ব্যবসা করছে। সে তো ট্রেডলাইসেন্স নিয়েছে। এখন যারা ব্যবসার জন্য ট্রেডলাইসেন্স দিয়েছ তাদের তো দেখা উচিত ছিলো যে, এই ভবন অফিস স্পেসের জন্য না আবাসিকের জন্য অনুমোদিত।’

আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘অবশ্যই রাজউকের নিয়মিত তদারকির দরকার ছিল। হয়ত জনবলের ঘাটতি রয়েছে। সেখানে তাদের (রাজউকের) ঘাটতি আছে। তারপরও তো তারা ২০১৯ সালে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে। কিন্তু অন্যান্য সংস্থা তো.....।’

অফিস স্পেসের অনুমোদন থাকার পরও রেস্তোরাঁর ব্যবসা চলছিল, ‘এটা আপনারা জানতেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জানতাম। কিন্তু কিন্তু রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ফোকাস করে ডিউরিং দ্যা আন্ডার কনস্ট্রাকশন। যখন আন্ডার কনস্ট্রাকশন বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন স্টেজে শেষ হয়ে যায় তখন কর্তৃপক্ষর আইন অনুযায়ী তদারিকর ম্যানডেড কম।’

(ঢাকাটাইমস/০৪মার্চ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সাক্ষাৎকার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

সাক্ষাৎকার এর সর্বশেষ

স্বাধীনতার পর থেকেই দেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন প্রকৌশলীরা: এস. এম. মঞ্জুরুল হক 

‘স্থিতিশীল সামষ্টিক অর্থনীতির স্বার্থে সরকারকে ভারসাম্যমূলক নীতি-উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে’: ড. আতিউর রহমান

প্রতি মুহূর্তেই মনে হচ্ছিল আর্মিরা ধরে নিয়ে যাবে: ফরিদা খানম সাকি

দাম বাড়ালে এতক্ষণে কার্যকর হয়ে যেত: ক্যাব সহ-সভাপতি নাজের হোসাইন

জন্ম থেকেই নারীদের যুদ্ধ শুরু হয়: নারী উদ্যোক্তা ফরিদা আশা

নারীরা এখন আর পিছিয়ে নেই

ভবন নির্মাণে সিটি করপোরেশনের ছাড়পত্র নেওয়ার নিয়ম করা উচিত: কাউন্সিলর আবুল বাশার

তদারকি সংস্থা এবং ভবন নির্মাতাদের দায়িত্বশীল হতে হবে: অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান

নতুন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে ভবন অনুমোদন দিতে হবে: ইকবাল হাবিব

বীমা খাতে আস্থা ফেরাতে কাজ করছি: আইডিআরএ চেয়ারম্যান জয়নুল বারী

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :